বর্তমান নিউজ ডটকমঃ
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন,বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের বহু নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। কোন নেতাকর্মীকে বাড়ি ঘরে ঘুমাতে দেয়নি, আমার বাপ দাদার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছিল। আমরা প্রতিশোধ নেইনি। আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি। সেজন্যই এতদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায়।
পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রকে বলতে চাই যারা আমাদের হুমকি ধমকি দেয়, বাংলাদেশ ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, কারও করুনায় নয়। আমাদের পূর্ব পুরুষরা লড়াই করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমরা যারা তাদের উত্তসুরী আছি, ৭৫’র পর যারা রাজনীতি করতে এসেছি, তারা মৃত্যুকে ভয় করি না। আপনারা আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখান?
তিনি আরো বলেন, গতকালকে আমাকে ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। আমাকে বলে তোর মৃত্যুর সময় চলে এসেছে। আরে ভাই আপনারা কাদেরকে ভয় দেখান? আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখাইয়েন না। ২০০০ সালের ১৬ জুন আমাকে মারার জন্য বোমা হামলা করা হয়েছে। আমাদের ২০ জন লোক মারা গেছে। আমি বেছে আছি। আমি মনে করি আমি সেদিনই মরে গেছি। যে কয়দিন আছি মানুষের কথা বলবো। মানুষের জন্য কাজ করবো। এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজনীতিতে আসি নাই। বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাড় করানোর জন্য রাজনীতি করছি।
সোমবার (২০নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটী এলাকায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিলের পূর্বে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ওরা আমাদের মানচিত্রে থাবা দিয়েছে। তবে শেখ হাসিনা হিমালয়ের মত শক্ত মহিলা। কোন ভাবেই তিনি মাথা নত করবেন না। সামনে অনেক আঘাত আসবে। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন।
একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন,নারায়ণগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। লিংক রোড প্রশস্ত হচ্ছে। এই পুরাতন সড়কও ১৪০ ফিট চওড়া হচ্ছে। এখানে ফ্লাইওভার হবে। নাগিনা জোহা সড়ক হয়েছে। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশেই শেখ কামাল আইটি ইনিস্টিউট, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হবে। শুধু ফতুল্লাতেই আমরা ৬০০ কোটি টাকার কাজ করেছি। এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে সর্বনিন্ম ১ কোটি থেকে সর্বচ্চ ২৫ কোটি/৩০ কোটি টাকা আমরা ব্যয় করেছি। আমরা মানুষকে ভালবাসি। শেখ হাসিনা আমাদের ভালবাসতে শিখিয়েছে।
default
পরে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বিশাল শান্তি মিছিল বের করেন তিনি। মিছিলটি পঞ্চবটী থেকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক দিয়ে পাগলায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা দিয়ে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী,নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, ফতুলা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম ইসহাক, যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন, কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মীর হোসেন মেরু, থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ ফতুল্লায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply