নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানকে। বিএনপি নেতা অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনকে টেনে-হেঁচরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ
রোববার (৩০ জুলাই ) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল হক বাদী হয়ে এই মামলা করেন (মামলা নং- ৫৬)। এ মামলায় বিএনপির সাত নেতাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ২নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ফারুক, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক সাগর প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য ইউসুফ আলী, মুন্সীগঞ্জ জেলা গজারিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাদী ইসলাম বাবু, মুন্সীগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবুল হাসেম।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কাউন্সিলর জিএম সাদরিল, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, মহানগর জাসাসের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মো. সুবেদ আলী, সোলাইমান পলাশ, আনোয়ার হোসেন সানি, জাকির হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, বিএনপি নেতা আতিক টেম্পু আতিক, আতিকুর রহমান প্রধান কামরুল হাসান সেন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাতসহ আরও ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা তিনি বলেন, মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ, মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ও নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার সাতজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে রোববার বিকেলে গ্রেফতার আসামিদের নারায়ণগঞ্জে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ওসি মো. আসাদুজ্জামান।
জানা গেছে, শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় শাখা সড়কে অবস্থান নেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে চাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও শর্টগানের রবারবুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে তিন পুলিশ সদস্য ও বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতাকর্মী আহত হন।
ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ আটজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
Leave a Reply