পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দেশটির আদালত। এসময় আদালতে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বুধবার (১০ মে) আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম চলাকালে ইমরান খান আদালতকে বলেন, আমি আমার জীবন নিয়ে ভীত। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি একবারও ওয়াশরুমে যাইনি। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় পিটিআই প্রধান ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. ফয়সাল সুলতানকে তার কাছে প্রবেশের অনুমতির জন্য আদালতকে অনুরোধও করেন। এসময় উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মানি লন্ডারিং মামলার সাক্ষীর মৃত্যুর কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, আমার অবস্থা মাকসুদ চাপরাসির মতো হবে কিনা, এ নিয়ে আমি ভয় পাচ্ছি। কারণ তারা শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে। এরপর ধীরে ধীরে মৃত্যু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মানি লন্ডারিং মামলার মূল সাক্ষী ছিলেন মাকসুদ চাপরাসি। গত বছর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। সেসময় এই মৃতুকে রহস্যজনক বলেও অভিহিত করেছিল পিটিআই।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার এবং সামরিক কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে ঠিক করবে কত সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে।
এর আগে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠায়। এতে লাহোর, মুলতান, রাওয়ালপিন্ডি, ফয়সলাবাদ এবং অন্যান্য জেলা শহরে সেনা মোতায়েনের কথা বলা হয়।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেও সেনা ডাকা হয়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানান, পেশাওয়ারের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভ চলার সময় অন্তত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দাঙ্গাকারীদের ধরার চেষ্টা করছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাকিস্তানে গত কয়েক মাস ধরে একটানা রাজনৈতিক সংকট এবং চরম উত্তেজনার মধ্যে গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়।
সাবেক এই ক্রিকেটার অভিযোগ করেছিলেন যে একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানের খুবই ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী অবশ্য পাল্টা জবাবে এর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
Leave a Reply