মোঃ বিল্লাল হোসেন(শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের শ্রীবরদীতে স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নজরুল ইসলামকে ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪,জামালপুর।
১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন সাতারকুল রোডের বিসমিল্লাহ মার্কেটের আল বাকের কাঠ বিতানের সন্মুখ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নজরুল ইসলাম শেরপর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বাবেলাকোনা গ্রামের , মো. নইমুদ্দিনের ছেলে।
র্যাব-১৪,জামালপুর সুত্রে জানা গেছে, গত ১৫ বছর আগে নজরুলের সহিত একই গ্রামের মৃত আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে মোছা. আজেদা বেগমের বিবাহ হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তান জন্ম নেয়। নজরুলের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সংসারে অভাব অনটন থাকায় প্রায়শই তাদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। ২০০৮ সালের ২৩মে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নজরুল ইসলাম তার স্ত্রী আজেদা বেগমের বাবার বাড়ী থেকে ।
মাজেদাকে জোর পূর্বক নজরুলের নিজের বাড়ীর দিকে টেনে হেছড়ে নিয়ে যেতে থাকে। পথে পার্শ্ববর্তী একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে (গলা কেটে) জবাই করে হত্যা করে। এসময় একই গ্রামের দোলেপান বেগম নামে জনৈক মহিলা ঘটনার দেখে ডাকচিৎকার করলে মাজেদার ভাই ও গ্রামের লোকজন ছুটে আসেন। এসময় নজরুল রক্তমাখা দা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে মাজেদার ভাই মো. সুজন রাজা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । তদন্তকারী অফিসার মামলার তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার ঘটনার পর থেকেই নজরুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ বিচারক, অতিরিক্ত দায়রা জজ, আদালত শেরপুর গত ২০২০ সালের ১৪অক্টোবর আসামী নজরুল ইসলামকে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ৩০২ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থ দন্ড এবং অনাদয়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম. এম. সবুজ রানার নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে নজরুল ইসলামকে থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয।
Leave a Reply