চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসস্থল সেবক কলোনির জরাজীর্ণ ভবনের ছাদধসে নারী ও শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কলোনির বাসিন্দা চান্দি বালা দাশ, আপন দাশ, হৃদয় দাশ ও শিশু রোহিত দাশ। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সেবক কলোনি নিয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘১০ জরাজীর্ণ ভবনে ১০ হাজার মানুষের বসবাস’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সে সময় যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ভবনটির বাসিন্দারা। তাঁদের সেই আশঙ্কায় সত্য হয়েছে। তাঁরা দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও টনক নড়েনি সিটি করপোরেশনের।
কলোনির বাসিন্দা মনিরাম দাশ জানান, সন্ধ্যায় কলোনিতে সনাতন ধর্মালম্বীদের অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণের মহোৎসব চলছিল। এ সময় এক নম্বর ভবনের ছাদ ও রেলিং ধসে পড়ে। এতে চারজন আহত হন।
আরেক বাসিন্দা উত্তম দাশ বলেন, ছাদের একাংশ ও রেলিং ধসে পড়ায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে আবারও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওই ভবনে ৪০ পরিবারের প্রায় দেড়শ মানুষের বসবাস। সবাই এখন আতঙ্কে রয়েছেন। ভয়ে কেউ বাসায় ফিরছেন না। দুর্ঘটনার পর সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাননি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। ‘মিটিংয়ে আছি’ বলে ফোন রেখে দেন তিনি। পরে কল করে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে নগরের সদরঘাট থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখে ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, ভবনটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে। সেখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক বসবাস করছেন। আপাতত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। বাসিন্দাদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।
নগরের পূর্ব মাদারবাড়ী সেবক কলোনির চারটি ভবনের প্রথমটি দুই তলা। এই ভবনের প্রতিটি ফ্লোরের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ঘরের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে পরিবার নিয়ে থাকেন পরিচ্ছন্নকর্মীরা। ভবনটির পেছনের দিকে গাছ গজিয়েছে। সব ভবনের সামনে-পেছনে নোংরা। অন্য তিন ভবনেরও একই দশা।
Leave a Reply