ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না জেনে বিএনপি-জামায়াতসহ দেশবিরোধী শক্তি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন ১৪ দল নেতারা।
তাঁরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশবিরোধী শক্তি তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে। দেশের মানুষকে এই অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। বিগত দিনে যেভাবে পরাজিত করা হয়েছে, এবারও সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের রুখে দেওয়া হবে।
রোববার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১৪ দলের আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিক দলগুলোর বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হন। এর মাধ্যমে বিএনপি ও তার মিত্রদের চলমান আন্দোলন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন জোট এক ধরনের শক্তি দেখাল।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, বিএনপির সঙ্গে এত এত দল যুক্ত হয়েছে! কখনও শুনি বিএনপির নেতৃত্বে ৩০ দল, কখনও শুনি ৫৪ দল। এতই যদি জনসমর্থন থাকে, তাহলে নির্বাচনে আসতে তাদের ভয় কেন? আসলে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না জেনেই দেশবিরোধী শক্তিকে নিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এই অপশক্তিকে যে কোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ূয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে ঐক্যবদ্ধ শক্তির বিকল্প নেই। এ জন্য ১৪ দলকে আরও বেগবান করতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে সমূলে উৎখাত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মহানগর সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, খুচরা দলগুলোকে নিয়ে বিএনপির আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না।
সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
Leave a Reply