যশোর শহরের বস্তাপট্টি মোড়ে ইনফিনিটি ভবন নামে নির্মাণ করা হয়েছে ১০ তলা একটি স্থাপনা। তবে পৌরসভার অনুমোদন না নিয়ে এটি নির্মাণ করেছে আশরাফুজ্জামান নান্নুর মালিকানাধীন ডেভেলপার কোম্পানি একসেন চিউর বিল্ডার্স। ভবনটির অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ফ্ল্যাট ভাড়াও দেওয়া হয়েছে। শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অনুমোদনহীন এমন ১১টি বহুতল ভবনে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ সময় ভবনগুলোর সামনে ‘অনুমোদনহীন ভবন’ মর্মে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘যশোর পৌর এলাকায় অনুমোদন না নিয়ে অনেকে ভবন নির্মাণ করেছেন। বিশেষ করে ডেভেলপার কোম্পানিগুলো অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছে। এসব ভবনের তালিকা করে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পৌরসভা। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয়। এ সময় চারটি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’
যশোর পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, শহরের শহীদ মশিউর রহমান সড়কে বদরুদ্দোজা নামে একজনের জমিতে অনুমোদন ছাড়াই আটতলা ভবন নির্মাণ করছে গোল্ডেন টাচ বিল্ডার্স। এরই মধ্যে সাততলা নির্মাণ শেষ হয়েছে। একই এলাকায় কবির হোসেনের জমিতে আটতলার অনুমোদন নিয়ে ৯ তলা ভবন নির্মাণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় তোফায়েল আহম্মেদের জমিতে পৌরসভার অনুমোদন না নিয়ে আটতলা ভবন করেছে এনেক্স বিল্ডার্স। এ ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অনেকে থাকছেন। এর পাশেই সাইফুল ইসলামের জমিতে ৯ তলা ভবন নির্মাণ করছে তারানা বিল্ডার্স নামে আরেক ডেভেলপার কোম্পানি। অনুমোদন ছাড়াই এরই মধ্যে দোতলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হয়েছে।
এ ছাড়া অনুমোদন না নিয়ে তারানা বিল্ডার্স শহরের গুরুদাসবাবু লেনে জাকিয়া সুলতানার জমিতে ৯ তলা এবং পিটিআই রোডে শওকত হোসেনের জমিতে আরেকটি ৯ তলা ভবন নির্মাণ করছে। শহরের রেলরোড বাইলেনে বাগমারা পুকুরপাড়ে খায়রুল বাশার চারতলা ও অনিমেশ কুমার চক্রবর্তী ৫ তলার অনুমোদন নিয়ে নির্মাণ করেছেন ছয়তলা ভবন। অন্যদিকে শহরের নাজির শংকরপুরে আবদুল মতলেব রকির জমিতে সানফ্লাওয়ার্স বিল্ডার্স নামের ডেভেলপার কোম্পানি অনুমোদন ছাড়াই ৯ তলা ভবন নির্মাণ করছে।’
যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শিকদার মোকলেচুর রহমান বলেন, ‘অনুমোদনহীন এসব ভবনে অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। এ জন্য আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
Leave a Reply