1. admin@sobsomoynarayanganj.com : admin : MD Shanto
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

শেরপুরে দ্রুত এগিয়ে চলছে জাইকা’র পাইপলাইন নির্মান কাজ,৫শ একর অনাবাদি জমিতে পাবে সেচ সুবিধা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩৯ বার পঠিত

মোঃ বিল্লাল হোসেন (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী সীমান্তে জাইকা’র খুদ্র পানিসম্পদ ২ প্রকল্পের আওতায় মাটির নিচ দিয়ে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ পাইপ লাইনটি নির্মাণ করা হলে ৫ একর অনাবাদি জমিতে পাবে সেচ সুবিধা। স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি এ পাইপ লাইনটি নির্মাণ করছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত মহারশি নদীর হলদীগ্রাম থেকে পাইপ লাইনটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে । ৪ কিলোমিটার এ পাইপ লাইন দিয়ে পানি সরবরাহ করা হবে নালিতাবাড়ী উপজেলার পুড়াগাঁও ইউনিয়নের ,সমশ্চুড়া,কোচপাড়া,জাঙ্গালপাড়া, ধূপারপাড়, ঝিনাইগাতী উপজেলার দেওয়ানগঞ্জে পাড়া,মানিককুড়াসহ আরোও কয়েকটি এলাকায়।

নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে,সেচ সুবিধার অভাবে যুগযুগ ধরে এসব এলাকার পাহাড়ি জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। অনাবাদি হয়ে পরে থাকে এসব এলাকার ৫০০ একর জমি।

শুষ্ক মৌসুমে এসব পাহাড়ি এলাকার ভূগর্ভস্থ পনির স্তর নেমে যায় কয়েকশ ফুট নিচে। এছাড়া এসব এলাকার মাটির নিচে পাথর থাকার কারনে গভীর- অগভীর কোন নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না। ফলে সেচের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ২০১০ সালে পুড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চুড়া গ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ছোট্ট একটি খাল অঞ্জনা ঝুড়ায় একটি স্লূইসগেইট নির্মাণ করা হয়।

এ স্লূইস গেইটের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে প্রায় ১শ একর অনাবাদি পাহাড়ি জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়। এটি পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে অঞ্জনা ঝুড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি। এ সমিতির আওতায় ৭শ কৃষক রয়েছে। এ সমিতির সভাপতি উমর ফারুক সাগর ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন ওই স্লূইস গেইটের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে ১শ একর অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হলেও উল্লেখিত এলাকা গুলোতে আরোও প্রায় ৫শ একর জমি সেচ সুবিধার অভাবে চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

তারা বলেন, বছরের পর বছর অনাবাদি থাকছে জমিগুলো। অপরদিকে ২০১৬ সালে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের শালচুড়ায় মহারশি নদীতে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি রাবারড্যাম নির্মাণ করা হয়। জাইকা’র অর্থায়ানে নির্মিত হয় ড্যামটি।

শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামারবাড়ির অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, এ রাবারড্যামের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে উপজেলার নলকুড়া ও গৌরিপুর ইউনিয়নের ২০টি এলাকায় প্রায় ২ হাজার একর অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। কৃষকরা পাচ্ছে স্বল্প মুুল্য সেচসুবিধা। এতে কৃষি ক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর এ রাবারড্যামের অনেক পানি অপচয় হয়। আর পানির অপচয় রোধে জাইকা’র পক্ষ থেকে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধনের লক্ষে ২০১৬ সাল থেকে অপচয়কৃত পানি কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি বারাতে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চালানো হয় জরিপ কাজ। পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ ও করা হয়।

সাবেক কৃষি মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় পাড়াগাঁও ইউনিয়নের যুগযুগ ধরে অনাবাদি ওই ৫ শ একর পাহাড়ি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে জাইকা’র খুদ্র পানিসম্পদ প্রকল্প ২এর আওতায় ২কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটির নিচ দিয়ে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ হাতে নেয় এলজিইডি। টেন্ডারে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ২০২১ সালে শুরু করা হয় নির্মাণ কাজ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে শেরপুরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আকরাম এন্টারপ্রাইজ নির্মাণ কাজটি করছেন।

নালিতাবাড়ি উপজেলা প্রকৌশলী রকিবুল আলম রাকিব বলেন পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তিনি আসা প্রকাশ করে বলেন চলতি মৌসুমেই পাইপ লাইনের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে নির্মিত পাইপ লাইনের মাধ্যমে স্লূইস টিপে কৃষকদের ক্ষেতে পানি দেয়া হবে। এতে কৃষকরা পাবেন স্বল্পমূল্যে পরিবেশ বান্ধব সেচ সুবিধা। অঞ্জনা ঝুড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি উমর ফারুক সাগর বলেন, জাইকা’র এ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়ায় স্থানীয় বিএডিসিসহ অন্যান্য সেচ প্রকল্পের উচ্চমূল্যে পানি ব্যবসায়ীদের মধ্যে শুরু হয়েছে গাত্রদাহ। কারন তাদের কাছ থেকে পানি নিতে একর প্রতি কৃষকদের গুনতে হয় ৭ হাজার টাকা।

আর জাইকার অর্থায়নে এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত পাইপ লাইনের পানিতে কৃষকদের দিতে হবে প্রতি একর জমিতে ৩ হাজার টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির শেরপুরে নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ পাইপ লাইনের পানিতে ওই এলাকার অনাবাদি ৫শ একর পাহাড়ি জমি আবাদের আওতায় আসবে। কৃষকরা পাবেন স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা। কৃষিক্ষেত্রে আসবে ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Bartoman News
Theme Customized By Theme Park BD