বর্তমান নিউজ.কমঃ
* সিদ্দিক মাদক এর টাকা নিতো এখন দেই না বলে আমার বিরুদ্ধে মামলার – সীমা বেগম
* আমি মাদক এর বিরুদ্ধে সব সময় – সিদ্দিক
ফতুল্লার ইসদাইরে স্টেডিয়াম সংলগ্ন নুর ডাইংয়ের পেছনের মাঠে গত ৫ ডিসেম্বর মাদক সেবন কে কেন্দ্র করে মামুন (২২) নামক এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় আহত হয় নুরনবী (২১) নামক আরো এক যুবক। নিহতের বন্ধু শফিকুল জানায়, ফোন করে তার বাসার পেছনে আসে নিহত মামুন। এর কিছুক্ষন পরেই সাইফুল, পায়েল, জয় সাদ সহ ১০-১৫ জন মামুন এবং নুরনবীকে পেয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে দুজনই মারাত্নক আহত হয়। তাদের কে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে মারা যায় মামুন।
এ ঘটনায় কেন্দ্র করে, ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয় সেখানে ১৬ জনের নাম উল্ল্যেখ করে যার মধ্যে ৪, বিজয় ও ৫, শিপন আসামী হলেন এক সময়ের মাদক ব্যবসায়ী সীমা বেগম এর ছেলে যারা যুক্ত ছিলো মামুন হত্যা কান্ডের সাথে। কিন্তু তাদের মা সীমা বেগম ঘটনার সময় অবস্থান করছিলো মুন্সিগঞ্জ জেলায় তার পরেও নারায়ণগঞ্জে না থেকেও মিথ্যা হত্যা মামলার আসামী হলেন সীমা বেগম।
এবিষয়ে সীমা বেগম বলেন, আমি এক সময় ইসদাইরে বসবাস করতাম সেখানে খানে বেশ কিছু দিন মাদক ব্যবসা করেছি কিন্তু আমি নিজে বাড়ি করে এখন মুন্সিগঞ্জ থাকি ৪/৫ বছর ধরে আমি ইসদাইরে থাকি না । আর যে মামুম মারা গেছে আমি তাকে কখনো দেখি নাই তাকে চিনিও না। আমার পিছনে লেগে আছে ইসদাইর রাবেয় হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ সিদ্দিক কারন তার সাথে আমার কিছু জামেলা ছিলো তখন সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রধান করে বলে তোকে দেখে নিবো।
তিনি আরো বলেন , আমি যখন মাদক ব্যবসা করতাম তখন তাকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা দিতাম সে এখন তো টাকা পায় না তাই এমনটা করছে আমার সাথে। তার সাথে আমার ছেলে নিয়ে একটি জামেলা আছে অনেক আগে থেকে। আমি জানি এটার সাথে সাথে আমার ছেলে ও তার বন্ধুরা জরিত আছে কিন্তু আমার নাম দেয়ার কারন আমি বুঝলাম না। আমি আপনাদের কাছে এটার সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সিদ্দিক বলেন, আমি যদি মাদক এর টাকা খাইতাম তাহলে কি তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করতাম নাকি। আমি মামুন হত্যা কান্ডের কিছু জানি না ভাই। আমি তো মামরার বাদি না ভাই জান পুলিশও না আমি কি করে তার নাম দিবো। আমি যদি দোষি হই তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন । আমি তো ইসদাইরে দুইটা স্কুল চালাই সেখানের ছেলেরা গাজাঁ খেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই আমি মাদক এর বিপক্ষে কাজ করি সব সময়।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি তদন্ত বলেন, আমরা তদন্ত করছি এটা শেষ হলে জানা যাবে কে আসল আসামী।
Leave a Reply