জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলা । বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময়ে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আবদুল হাই। এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরসহ ১৫ আগষ্টে নিহত সকল শহীদ ও জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা দোয়া পরিচালনা করা হয়। আবদুল হাই বলেন, মুক্তির সংগ্রামের অগ্রদূত জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ এবং লালন করাই ছিল জাতীয় চার নেতার মূলমন্ত্র। তারা কখনই আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানি করেনি। শত প্রলোভন দিয়েও তাদেরকে আদর্শচ্যুত করা যায়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতেই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। তিনি আরও বলেন, সেই সময়ে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মনির ভাইকে ১৯৮০ সালের ৩রা নভেম্বর রাতে দুই নং রেলগেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন পার্টি অফিসের ভিতরে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেই হত্যার বিচার এখনও আমরা পাইনি। মনির ভাইয়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির, আদিনাথ বসু, গোলাম রসুল, মো. ছানাউল্লাহ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুর হোসেন, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইসহাক সরকার, সাবেক মহিলা সম্পাদিকা মরিয়ম কল্পনা, সাবেক সদস্য আমজাদ হোসেন, আবদুল কাদির ডিলার, শামসুজ্জামান ভাষানী, সাদেকুর রহমান, মতিউর রহমান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply