নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ আদালত ও ভূমি অফিস এসিল্যান্ডে মামলা চলমান অবস্থা থাকা সত্বেও আদালত ও এসিল্যান্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমিলা খাতুনের জমি বিক্রির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে জুলহাস ও শহীদ রেজা গং।
সৈয়দপুর ‘ম’ খন্ডের ২৮৩ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চললে জমিলা খাতুন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ চতুর্থ আদালত দেওয়ানী মোকাদ্দমা মামলা নং ৪২/২০২০ সালে মামলা দায়ের করেন।
এমামলার বিবাদীরা হলেন,গুলশান-১’র মৃত এম এ ওহাব এর ছেলে শহীদ রেজা,মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও মৃত হাজী হাফেজ দপ্তরী’র ছেলে জুলহাস দপ্তরী,ঢাকা শ্যামপুর চাকদহ মৃত সিরাজুল ইসলামেরর ছেলে ইব্রাহিম সাকী, বন্দর উইলসন রোড এলাকার আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে গিয়াসউদ্দিন, ছায়াকুঞ্জে মতিউর রহমানের ছেলে মোক্তার।
জমিলা খাতুন মামলায় উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ এন্ড কোং লিঃ নালিশা ভূমি সহ অপরাপর ভূমি বিগত ৩০/১১/ ১৯৫৯ তারিখে সাবরেজিঃকৃত ১৩৩৮৮ নং সাবকবলা দলিল মূল্যে বাংলাদেশ জুট মার্কেটিং কর্পোরেশন বরাবরে সাফ বিক্রয় করিয়া দখলাদি বুঝাইয়া যায়। বিগত আর এস জরীপ কালে আর এস ৫নং খতিয়ানে রুপান্তরিত হইয়া আরএস ৮নং দাগে ৫৬৫ শতাংশ কাতে অংশে ২৮৩ শতাংশ ভূমি সহ অপরাপর অনালিশা ভূমি সম্পর্কে বাংলাদেশ জুট মার্কেটি কর্পোরেশন এর নাম লিপি বদ্ধ হইয়া আর এস খতিয়ানে চূড়ান্ত রুপে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৫ সালে / ৮৫ নম্বর আদেশ বলে চার সংস্থাকে একীভূত করিয়া বাংলাদেশ পাট কর্পোরেশন ( বিজেসি) গঠন করা হয়। ঐ বিলুপ্তিকৃত সংস্থাগুলির সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির দায়-দায়িত্ব বিজেসি’র উপর ন্যাস্ত হয়। পরবর্তীতে সরকার ৩০/৯/৯৩ সালে এ্যাষ্ট ২৪ আইনের বলয়ে বিজেসিকে বিলুপ্ত করে সমস্ত সম্পত্তি দায়-দায়িত্ব সরকার গ্রহন করে। ২০/৯/৯৩ তারিখে স্মারক নং পাম/-৮/৫৮/৯২/৩২১ এর মূল বিলুপ্ত বিজেসিকে দলিল সম্পাদন করার ক্ষমতা অর্পন করেন। অতঃপর বাংলাদেশ জুট মার্কেটিং কর্পোরেশন এর পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ৭/৮/২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জ সাবরেজিষ্ট্রী অফিসে রেজিঃকৃত ২৯৫৫ নং সাফকবলা দলিল মূলে নালিশা ভূমি সহ অপরাপর ভূমি বাদিনী জমিলা খাতুন বরাবরে সাফ বিক্রয় করিয় দখলাদি বুঝাইয়া দিয়ে চিরতরে নিস্বত্ববান হয় ঐ কম্পানি।
এখানে আরোও উল্লেখ করেন, ৭৩৬/২-৩ নং নামজারী নালিশা ও অনালিশা ভূমির সম্পর্কে নিজ নামে ৩২ নং নামজারী খতিয়ান প্রস্তুত পূর্বক ডিসিআর সংগ্রহ ক্রমে খাজনা পরিশোধ ও ভোগদখল করছি। এবং সমস্ত কাগজপত্র বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে দেওয়ানী নং ২৪৫/১৯ মোকদ্দমায় বিজ্ঞ আদালতে দেওয়া হয়। এছাড়া নালিশা-অনালিশা ভূমি দেখাশুনা, রক্ষানাবেক্ষন মামলা মোকাদ্দমা পরিচালনার জন্য নিমিত্তে মো.সোহাগকে আমমোক্তার দলিল মূলে আমমোক্তার নিয়োগ করেন জমিলা খাতুন।
মামলায় আরোও উল্লেখ ও জমিলা খাতুন এর পক্ষে মামলা নিযুক্ত আম-মোক্তার নামা বাদী মো.সোহাগ জানান, বিবাদীপক্ষ দুর্লোভে বদবর্তী হইয়া নালিশা ভূমি আত্মসাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন এবং দুর্লোভী শহীদ রেজা বিবাদীর সহযোগী জুলহাস ও মুক্তার ৩/১১ /২০ সালে কুচক্রী লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক বেআইনী ভাবে
বাদিনীকে নালিশা ভূমিতে বেদখলেরর হুমকী প্রদর্শন করেন।
সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে মামলা নিযুক্ত আম-মোক্তার নামা বাদী মো.সোহাগ আরও জানান, আমরা এ সম্পত্তি খরিদ সূত্রে মালিক হইয়া নামজারী জমাভাগ হালসন পর্যন্ত খাজনাদী পরিশোধ করিয়া ভোগ দখল করিয়া থাকা অবস্থায় জনৈক শহীদ রেজা বাদী হইয়া বিবিধ মোকদ্দমা নং ৩৩/২০২০ দায়ের করেন। উক্ত মোকদ্দমায় বিগত ২১/০৬/২০০১তারিখে বিনা তদ্বীরে খারিজ হয়। কিন্তু জনৈক শহীদ রেজার স্ত্রী শাহানাজ পারভিন বিগত ১৫/০৩/২০২২ তারিখে ৪২১৮(IX-1)/২০২১-২২ নং মোকদ্দমাটি দরখাস্তকারী পক্ষকে গোপন করিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে দায়ের করেন। যাহা জাল জালিয়াতির সামিল হয় বটে। তাই আমরা সহকারী ভূমি কমিশনার প্রতি সুবিচারের আশা প্রকাশ করছি।
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সৈয়দপুর এলাকাবাসী জানান, লুহিয়ার মাঠকে দখল করেছে। পরে জমিলা খাতুন এর জমিও দখলের পাঁয়তারা লিপ্তে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জমি বিক্রির পাঁয়তারা করছে ভূমিদস্যুরা।
Leave a Reply