বর্তমান নিউজ. কমঃ

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকের নারায়ণগঞ্জ জেল ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মোবারক হোসেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাবার এ ঘোষনা দেন মোবারক হোসেন।
 
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সমর্থন না থাকায় এবং তার নির্দেশেই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মোবারক হোসেন।
 
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার লূৎফর রহমান স্বপন, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল এবং বক্তাবলি ইউপি চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী এই পাঁচ চেয়ারম্যানের সাথে গোপন বৈঠক থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান মোবারক হোসেন। তবে গুঞ্জন উঠেছে শামীম ওসমানের নির্দেশে বক্তাবলি ইউপি চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর আস্থাভাজন জাহাঙ্গীর হোসেনকে সমর্থন জানিয়ে মোবারক হোসেনসহ অন্যান্য প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
 
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে মোবারক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘কিছুক্ষণ আগে সদর উপজেলার ৫ চেয়ারম্যানের সাথে মিটিং করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেবার নির্দেশে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।’
 
আপনাকে এমপি শামীম ওসমান সমর্থন না দেওয়ায় এবং তার নির্দেশেই আপনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমন একটি গুঞ্জন উঠেছে ভোটারদের মাঝে এবং আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও মনে করছে এই কারনেই আপনে নির্বাচনের মনোনয়ন যাচাই বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের দিন নির্বাচন অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। আসলে এটা কতটুকু সত্য এ প্রশ্নের জবাবে মোবারক হোসেন বলেন, ‘এটা ভূল এমপি শামীম ওসমান আমাকে সমর্থন দেন নাই। আমি তার কর্মী। দলীয়ভাবে একজনকে সমর্থন দিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া গতবারও আমি মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি, জমা দিয়েছি তখনও নির্বাচন অফিসে যাই নাই। আমার প্রতিনিধি থাকতে আমার নির্বাচন অফিসে যাবার দরকার পড়ে না।’
 
কাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এই প্রশ্নের জবাবে মোবারক হোসেন বলেন, ‘এটা কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারবেন।’

এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৈঠকে অংশ নেয়া বক্তাবলি ইউপি চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

বৈঠকে অংশ নেয়া অপর সদস্য এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানান, সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনকে সমর্থন জানিয়ে সকল সদস্যরা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষনা দেন।