বর্তমান নিউজ.কমঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার বিরুদ্ধে সাহাবুদ্দিন হাওলাদার নামে এক ব্যবসায়ী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতে মামলা হলেও এখনও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা সহ তার সহযোগীরা। পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকার কারণেই বেপরোয়া রুহুল আমিন মোল্লা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করছেনা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) মো. রুহুল আমিন মোল্লাকে প্রধান করে সাহাবুদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি পি (নং ৩০৫/২২) দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখিত অন্য অভিযুক্তরা হলেন- মো. স্বপন (৪৫), কাজী অহিদ আলম (৪০), মাহাবুব (৪৮), রিপন (৪০), বাবু (৩০), মো. মনির (৩৫), মো. মজিবর (৪৫), মো. মনির হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান রিপন (৩২), রুবেল (২৬), সজিব (৩০) সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৬ জুন আসামীরা তার মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ টুস্টিং মিলে গিয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও গত ১৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্রের ভয় দেখায়। এর প্রেক্ষিতেই তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
সূত্রে জানা যায়, পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকার কারণেই বেপরোয়া রুহুল আমিন মোল্লা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করছেনা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে রুহুল আমিন মোল্লা ও তার বাহিনীরা। দুর্ধর্ষ, দাঙ্গাবাজ, ভূমিদস্যু, জবর দখলকারী, প্রতারক ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক রুহুল আমিন মোল্লা ও তার সহযোগীরা। মামলা হওয়ার পরও আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রীতিমত আসামীরা মামলার বাদীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। থানা পুলিশকে বার বার আসামীদের তথ্য দেওয়ার পরও তাদের গ্রেফতার করছেনা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, এর আগে জমি সংক্রান্ত জের ধরে গত ১৬ জুলাই ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিনকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় কাউন্সিলর রুহুল বাহিনীর সমর্থকদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৮ জুলাই চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ১নং (সিদ্ধিরগঞ্জ) আদালতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশন (পিবিআই) এর কাছে।
ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিনকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় ওইদিন ঘটনাস্থলে আহত হন সালমা বেগম (৫২), রুবিনা বেগম (২৮), রায়হান (৩০) ও বাপ্পী (৩৮)। এদের মধ্যে রায়হানের মাথায় ১৭টি সেলাই দেয়া হয় এবং সালমা বেগমের হাতে ১৪টি সেলাই দেয়া হয়। কয়েকদিন যাবত ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিনের ক্রয়কৃত জমি দখল ও ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিলো কাউন্সিলর রুহুল আমিন বাহিনী। এ নিয়ে জমির মালিক কয়েকবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে গেলে তা আমলে নেয়নি থানা পুলিশ। গত ৯ জুলাই রাতের আধারে সাহাবুদ্দিনের ক্রয়কৃত জমিতে কাউন্সিলরের লোকজন টিন দিয়ে বেষ্টনি তৈরী করে ফেলে।
উল্লেখ্য, এর আগেও চাঁদা দাবি করায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর রুহুলের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছিলেন এমরান নামের এক ডিস ব্যবসায়ী। সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর দিনাকেও ইভটিজিং এবং হয়রানি করেছিলেন কাউন্সিলর রহুল মোল্লা। তাছাড়াও নিজের বড় ভাইকেও পিটিয়েছিলেন কাউন্সিলর রুহুল। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়েছিল।
Leave a Reply