তৌফিক এলাহি(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
ধানের শীষ মার্কায় কোনদিন ভোট দেয়নি জাসদ নেতাকে অর্থের বিনিময়ে সভাপতি করা হয়েছে অভিযোগ সাধারণ সম্পাদকের জেলা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাদের পছন্দের লোককে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি বানানোর জন্য মিথ্যা সাজানো ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সভাপতি প্রার্থী আবুল বাশারকে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেয়া হয় এবং তাদের পছন্দের সভাপতি প্রার্থীর ইউনিয়নে সম্মেলন স্থান ঠিক করে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের একাধিক অভিযোগ এনে ও মাদলা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে আর্থিক লেনদেনর মাধ্যমে জাসদ নেতাকে সভাপতি করার প্রতিবাদে সোমবার বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক
মাদলা ইউনিয়নে বিগত দিনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে ৯টি ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন শুরু করা হলে সেখানে জেলা ও থানা বিএনপির ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের উপস্থিতিতে একটি স্বার্থন্বেষী মহল সম্মেলন হতে দেয় নাই। পরবর্তীতে কুট কৌশলে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতার সহযোগীতাই হঠাৎ ওয়ার্ড সম্মেলন না করেই এক নেতার বাড়ীর খুলিতে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন করে এবং পকেট কমিটি ঘোষণা করে। সাধারণ নেতাকর্মীদের ভয়ে উক্ত কমিটিতে অত্র ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিককে দেয়া হয় সাধারণ সম্পাদক পদ।
অথচ আতিকুর রহমান আতিক ছিল সভাপতি প্রার্থী। পরবর্তীতে তড়িঘড়ি উপজেলা সম্মেলনের তফসিল ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। সেখানে মাদলা ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হাতে পেয়ে দেখতে পাই মাদলা ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশকারী উক্ত মাদলা ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের স্বাক্ষর না নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে মাদলা ইউনিয়ন বিএনপি’র দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত, সক্রীয় ও ত্যাগী এবং মামলা হামলা, জেল-জুলুমের স্বীকার দলীয় জনপ্রতিনিধি ও সাবেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গণহারে বাদ দিয়ে আওয়ামী ও জাসদ ঘেঁষা বিগত দিনে নৌকার ভোট করা ব্যক্তিদের এবং নেতার আত্মীয়দের বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সদস্য করা হয়েছে। যা বিএনপি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। মূলতঃ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতার নিকট আত্মীয় শাহীনকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বানানোর জন্য কুট কৌশল করছে বলে আমরা মনে করি। এমতাবস্থায়, জেলা বিএনপির নিকট বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতীকার পাইনি। বরং তারা রীতিমতো পক্ষপাতমূরক আচরণ করেছেন, ফলে আমরা বিস্মিত। এমনকি আমাদেরকে হুমকি ধামকিও দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক সফল আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবুল বাশার উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিল বলে তাকে সাজানো ঘটনা দেখিয়ে ০৬ (ছয়) মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে মাঠ ফাঁকা করার জন্য। পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির তফসিল ঘোষণা করলে পক্ষপাত আচরণের জন্য এবং প্রার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করায় এবং বিভিন্ন অনিয়ম বহাল থাকায় প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছে। এমতাবস্থায়, দল চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্মুখীন হইতেছে।
তাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিকট আকুল আবেদন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এবং পক্ষপাতমূলক দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন বাতিল/স্থগিত করে পুনরায় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠন করে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন উপজেলা সদরে গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি এবং আবুল বাশারের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সম্মেলনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন করছি।
Leave a Reply