বর্তমান নিউজ.কমঃ
কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে বহুল আলোচিত বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল তা অনেকেইে জানেন না। তবে বেশ কয়েকবার কাউন্সিলের তারিখ হবে হবে বলে চাউর উঠলেও এখনও পর্যন্ত না হওয়ায় মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের মাঝে। তবে এরআগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিল হবে বলে যে সম্ভাব্য তালিখটি ছিলো তাও নির্ধারন নয় বলেও জানিয়ে ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী। এদিকে কাউন্সিলের দিনক্ষন না হওয়ার ফলে সাধারণ নেতাকর্মী সহ প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।
জানা যায়, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক মাহমুদ, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সদরউদ্দিন সদু মেম্বার।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রোটারিয়ান নুরুজ্জামান জিকু, ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ খোরশেদ আলম মাষ্টার।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পর বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। একটি পক্ষ চেয়েছিল কাউন্সিল না করে পকেট কমিটি গঠন করতে। কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী ছিল কাউন্সিলের মাধ্যমে তাদের পছন্দসই নেতা নির্বাচন করতে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের তারিখ ঘোষনা না করা সত্বেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়ায় তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উল্লাস পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা কাউন্সিলদের সাথে মুঠোফোনে ও স্বশরীরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
সভাপতি পদে আবুল হোসেন মাষ্টার ও শফিক মাহমুদের সাথে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ বাবুল মিয়া ও নুরুজ্জামান জিকুর মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। অনেক নেতাকর্মীদের ধারনা এবার কাউন্সিলে বিপুল পরিমান টাকা ও উপডোকন উড়বে।
এ ব্যাপারে সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেন প্রধান বলেন, আমার পিতা ইব্রাহিম প্রধান দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আশা করি সেদিক বিবেচনা করে এবং দলের প্রতি আমার অবদান মনে করে আমাকে নির্বাচিত করবে।
সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহমুদ বলেন, আমার হারানোর কিছু নেই। কাউন্সিল হলে আমি ১০০% নির্বাচিত হবো।
সভাপতি প্রার্থী সদরউদ্দিন সদু মেম্বার বলেন, আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছি। এখন যুবলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছি। আশা করি আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে দলকে সংঘবদ্ধ করতে পেরেছি। এখন প্রতিটি ঘরে আওয়ামী লীগ রয়েছে। আমার দক্ষতা ও নিষ্ঠার কথা চিন্তা করে আবার নির্বাচিত করবে বলে আশা রাখি।
মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, প্রায় ৪০ বছর যাবত আওয়ামী পরিবারের সাথে আছি। বিগত সময়ে দলের পিছনে আমার কি অবদান ছিলো সবাই জানে। আমি আশা করি কাউন্সিলররা আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
নুরুজ্জামান জিকু বলেন, আমি বুঝের পর থেকে আওয়ামী রাজনীতি করে আসছি। আশা করি আমাকে নির্বাচিত করবে। আমি প্রতিটি কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের যথাযথ মর্যাদা দিব। আমি তাদের বিপদাপদে সবসময় পাশে থাকবো।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ৩ যুগ ধরে আওয়ামী পরিবারের সাথে আছি আমৃত্যু থাকবো। আমার হারানোর কিছু নাই। নেতাকর্মীরা যদি মনে করে আমি যোগ্য আমাকে নির্বাচিত করবে। তবে মহান আল্লাহ সহায় হলে আমি নিশ্চিত বিজয়ী হবো।
খোরশেদ আলম মাষ্টার বলেন, সময় এলে কাউন্সিলররা যোগ্য লোককে নির্বাচিত করবে। তবে আমি আশাবাদী আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ঘিরে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা চলছে সাধারণ নেতাকর্মী সহ কাউন্সিলরদের মাঝে। আগামীতে যারা বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিবেদন তারা খোঁজখবর রাখায়।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী ফোকাস নিউজ এজেন্সীকে বলেন, না কোন তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়নি কাউন্সিলের জন্য। এমপি সাহেবের ছেলে অসুস্থ, সে সেুস্থ হলেই কাউন্সিল সম্পন্ন করা হবে।
Leave a Reply