বর্তমান নিউজ.কমঃ

বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার রশিদ আহম্মেদ, অন্তু হত্যা মামলার প্রধান আসামী আওলাদ সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ফতুলা মডেল থানায় জিডি করার পর হতে নিখোঁজ রয়েছেন ৯৮৯নং জিডির বাদী জাকির হোসেন।

নিখোঁজ স্বামীকে ফিরত পেতে জাকির হোসেনের স্ত্রী খোর্শেদা বেগম ফতুল্লা মডেল থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইং তারিখে বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং- ১৩৬৫।

জিডিতে খোর্শেদা বেগম উলেখ করেন গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর অনুমান ৩টা ৩০ মিনিটে আমার স্বামী জাকির হোসেন (৫২) চরবক্তাবলীর বাসা হতে বাহির হয়।অথাসময়ে বাসায় ফিরে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়।বহু স্থানে খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় জিডি করিলাম।

নিখোঁজ জাকির হোসেনের স্ত্রী খোর্শেদা বেগম ও নিখোঁজ জাকির হোসেনের মেয়ের জামাতা মোঃ জাকির হোসেন জানান, গত ১৬/৯/২০২২ ইং তারিখ এএসআই জাহিদ হাসান জুয়েল জাকির হোসেনের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, জিডির তদন্ত করতে আসছি। আপনি বক্তাবলী ফেরীঘাটে আসেন। জিডির বাদী জাকির হোসেনকে বিকাল ৪টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফেরীঘাটে বসিয়ে রাখেন। সন্ধ্যা ৭টার পরে রশিদ মেম্বার তার অফিসে জাকির হোসেনকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেয়ের জামাতা জাকির হোসেন ও মোতালেব রশিদ মেম্বারের অফিসে গিয়ে জিডির বাদী জাকির হোসেনকে দেখতে পান। রশীদ মেম্বার অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

মেয়ের জামাতা জাকির হোসেন আরো বলেন, রশীদ মেম্বারের ক্ষোভ দেখে বলি আগামী কাল সকালে জিডি প্রত্যাহার করবো। পুলিশ আসলে বলবো মেম্বারকে চিনিনা, জানিনা। তাতেও রশিদ আহম্মেদ মেম্বারের রাগ থামেনা। আমি আমার শ্বশুরকে সাথে নিতে চাইলে রশিদ মেম্বার বলে পুলিশ আইলে ওরে কিছুক্ষণ বাইরাইয়া থানায় ভরমু। এসআই হুমায়ুন-২, এসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই জাহিদ হাসান জুয়েল রশিদ মেম্বারের অফিসে আসলে আমার শ্বশুরকে রেখে আমি ও মোতালিব চলে আসি। সেদিন থেকে বৃদ্ধ জাকির হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজের দিন বৃদ্ধ জাকির হোসেনের পড়নে ছিল টি শার্ট ও প্যান্ট, গায়ের রং ফর্সা, চুলের রং কালো, উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, ডান চোখে সমস্যা রয়েছে। যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি খোঁজ পেয়ে থাকেন উল্লেখিত ০১৭৭৮৯৪৯৪২৩ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।