বর্তমান নিউজ.কমঃ
ফতুল্লার কাশিপুরের ৭নং ওয়ার্ডের মুর্তিমান আতংক রিয়াজ প্রধান ও পারভীন দম্পত্তির সন্ত্রাসী পুত্র রাজু প্রধান। এমন কোন অপকর্ম নেই যা রাজু প্রধানের দ্বারা সংগঠিত হয়। মাদক, সন্ত্রাস, ভুমিদস্যুতা, চুরি ছিনতাই, জবর-দখলসহ নানা প্রকার অপকর্মের অধিকারী এ রাজু প্রধান।
সম্প্রতি নুর মসজিদ এলাকায় রাজু প্রধান ও তার বহিনীর অপরাধকর্ম এতটাই বেপরোয়া হয়েছিলো যা কল্পনাতীত। তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের পিঠ যেন দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিলো। অবশেষে স্থানায়ী একাট্টা হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে রাজু প্রধান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। যাদের সহযোগিতায় ৭ নং ওয়ার্ডবাসী ঐক্যবদ্ধতা গড়ে তুলেছেন তারা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ বাদল ও ফতুল্লা মডেল থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মো: রিজাউল হক দিপু। যার নির্দেশে রাজু প্রধানের আস্তানা থেকে পুলিশ বিপুল পরিমান বোমা ও বহু সংখ্যক দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে দেওভোগ বাশমুলি এলাকায় রাজু প্রধানের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ দেশী তৈরি ধারালো অস্ত্র, হাতুড়ি, লোহার পাইপ, শাবলসহ বিপুল পরিমান বোমা উদ্ধার করে। তার নির্দেশে সকল অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত হয়েছে।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ বাদলের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য, পঞ্চায়েতের সকল সদস্য, স্থানীয় সকল পেশাজীবি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধ নির্মুলে দৃঢ়তার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
অপরদিকে ওয়ার্ডবাসীর কাছে আতংকিত রাজু প্রধান ও তার বাহিনীর সদস্যরা অন্যত্র সরে থাকলেও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও অপরাধযঞ্জ চালাতে গভীর রাতে ১০/১৫ জনের একটি দল সংঘবদ্ধ হয়ে এলাকায় প্রবেশ করে প্রতিবাদীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি প্রদান করছে বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, রাজুর বাহিনীর সদস্য আমাদেরকে ভীতি প্রদান করে বলছেন,নতোদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে আমরা আবার এলাকায় আসবো। সে সময় তোদেরকে কোন বাপে বাচাঁয় দেখবো। তারা আরও বলেন, এবার মাঠে নেমেছি এলাকাকে শান্তিপূর্ণ ও বসবাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে। আমরা কেউ পিছু হটবোনা। কারণ আমাদের পাশে রয়েছেন আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব ও ফতুল্লা মডেল থানার ওসি স্যার ও অন্যান্য পুলিশ ভাইয়েরা। সকল প্রকার অপরাধ ও অপরাধী থেকে আমরা এবার ৭নং ওয়ার্ডবাসীকে মুক্ত করে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
এদিকে সরেজমিনে ৭নং ওয়ার্ডের নুর মসজিদ, বাশঁমুলি, গোলাম ডাইং ও আশপাশে ঘুরে দেখা একই চিত্র। সেখানে বসবাসকারী অনেকেই চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও একটু শান্তির নিঃশ^াস নিচ্ছি আমরা। কারণ রাজু প্রধান ও তার বাহিনীর সদস্যরা আমাদের ঘরে থাকা শিশু বাচ্চাটিরও ঘুম কেড়ে নিয়েছিলো। আমরা ধন্যবাদ জানাই আমাদের চেয়ারম্যান এম.সাইফুল্লাহ বাদল সাহেবকে এবং ফতুল্লা মডেল থানার ওসি স্যারকে। যাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমাদেরকে শান্তিতে বসবাস করার ব্যবস্থা নিয়েছেন। আর তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই যারা চেয়ারম্যান সাহেব ও ওসি স্যার সহযোগিতা করছেন। আমরা চাই অতিদ্রুত রাজু প্রধান ও তার বাহিনীর রাসেল, রাশেদ, রাসু, জান্নাত, দোলন, বাবু, রাকিব, আমিনসহ সঙ্গীয়দের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য যে, কাশিপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিয়াজ প্রধান ও পারভীন দম্পত্তির দুই ছেলের মধ্যে রাজু প্রধান এখন উক্ত ওয়ার্ডবাসীর কাছে আতংকের একটি নাম। যে নামটি শুনলে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি হওয়া ছাড়া অন্য কিছুই না। বাবা রিয়াজ প্রধান, মাতা পারভীন আক্তার ও চাচা সফিকুল প্রধানের অনৈতিক প্রেরনায় রাজু প্রধান এখন কাশিপুর নুর মসজিদসহ আশপাশ এলাকায় আতংকিত ব্যক্তির নামে পরিচিত। মাদক, সন্ত্রাস, চুরি-ছিনতাই, জবর-দখল, নারী দিয়ে দেহ ব্যবসাসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা রাজু প্রধানের দ্বারা সংগঠিত হয়নি।
নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি থানায় প্রায় ২৩টি মামলা রয়েছে এ আতংকিত রাজু প্রধানের বিরুদ্ধে পাশাপাশি বাবা রিয়াজ প্রধানের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় ৮টি মামলা।
Leave a Reply