বর্তমান নিউজ.কমঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা এলাকার বাসিন্দা আবুল কাসেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগে পাওয়াগেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা জানান, শহিদুল ইসলাম এলাকার নিরীহ লোকদের জমি দখল, অবৈধ ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পহাড় থাকলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।
কোবাগা এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, শহিদুল ইসলাম আওয়ামীলীগ নেতা ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কোবাগা গ্রামের শহিদুল ইসলাম এক সময়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। হামলা মামলার ভয়ে আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে তালমিলিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে জাহান এন্টার প্রাইজ নামের একটি সিমিন্টের দোকান ও কাউসার ইঞ্চিনিয়ারিং নামে একটি ওয়াকসপ দোকান চালিয়ে আসছেন। গত পাচ বছর পূর্বে যার ঘরে নূন আনতে পান্তা ফুড়াতো তিনি আজ অবৈধভাবে টাকার পাহাড় গড়েছেন। ধারনা করা হচ্ছে, তার মালিকানাধীন কাউসার ইঞ্চিনিয়ারিং ওয়ার্কসপে অবৈধভাবে দেশীয় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরংঞ্জাম তৈরী করেন তিনি । যার ফলে অতি অল্প সময়ে অবৈধভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী এই প্রতিবেদককে জানান, শহিদুল ইসলাম এলাকার একজন বখাটে ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পেটের দায়ে তিনি শ্রমিকের কাজ করেছেন। অবৈধভাবে কিভাবে এত অল্প সময়ে এত টাকার মালিক হয়েছেন তার সম্পদের বিবরণ দেখলেই যে কারোরই মাথা ঘুরে যাবে। অবিলম্বে দূর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারি বিভিন্ন দফতর তার সম্পদের হিসেব খোজ খবর নিলেই বেরিয়ে আসলে থলের বিড়াল। কালো টাকার পাহাড়ের রহস্য উন্মোচিত হবে সোনারগাঁবাসীর কাছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম জানান, আমি ব্যবসা করে সম্পদ অর্জন করেছি। অবৈধভাবে কোন সম্পদ অর্জন করিনি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, শহিদুল ইসলামের বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিক এলাহী জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে শহিদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply