বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে গোলাগুলি চলছেই। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে তুমব্রু সীমান্তে ভারী গুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এর আগে মিয়ানমার থেকে দুটি মর্টারশেল ও গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ার ঘটনায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো‘কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরও গোলাগুলি বন্ধ হয়নি।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, প্রায় মাসখানেক ধরে আমার সীমান্তজুড়ে গোলাগুলির খেলা চলছে। এখনো বন্ধ হয়নি। সকাল থেকে আবারো বড় ধরনের গুলি শব্দে এপারের স্থলভূমি কাঁপছে। মনে হচ্ছে মর্টরশেল ছুঁড়ছে সেখানে।
সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তুমব্রু সীমান্তজুড়ে কেঁপে উঠে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী মানুষ।
তুমব্রু সীমান্তের বসবাসকারী মাহামুদুল হক বলেন, সকালে কাজে বের হওয়ার সময় হঠাৎ পুরো ঘরবাড়ি কেঁপে উঠে। প্রথমে ভেবেছি ভূমিকম্প হয়েছে। তার কিছুক্ষণ পর আবারো ঘরের দরজা নড়ে উঠে। এরপর বুঝলাম মিয়ানমারের মর্টারশেল ছোঁড়ার আঘাত এপারে এসে পড়েছে। বলতে গেলে এই সীমান্তে গুলিবর্ষণের বিষয়টি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কারণ এ ধরনের ঘটনা এখানে নিত্যদিনের বিষয়। তবুও সবার মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
বিষয়টি শুনেছি উল্লেখ করে খোজঁ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক।
তবে এ বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply