ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডিকেপি রোডের মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম পুঠিয়া পৌরসভার মেয়রের সাবেক গাড়ি চালক।
বরগুনা থানার ওসি আলী আহম্মেদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুঠিয়া থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে নেওয়ার জন্য বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল বারী জানিয়েছেন, রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের বিরুদ্ধে এক নারী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪) পুঠিয়া সদর এলাকার একজন কাঠ ব্যবসায়ীর মেয়ে। অন্যদিকে মেয়র আল মামুন গণ্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে ওসি আরও জানিয়েছেন, মেয়র আল মামুন খান ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে রোববার রাতে থানায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দিলে সোমবার সকালে অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই নারী উল্লেখ করেছেন, এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য তিনি মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর তিনি বিভিন্ন কথা বলে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় মেয়রের সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে তিনি মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
পুঠিয়ার পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে গত বছরের ১১ এপ্রিল এক সিনিয়র নার্স আল মামুন খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। ধর্ষেণর ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে মামুন তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ পরে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। কিন্তু একজন আওয়ামী লীগ নেতার তদবিরে বিষয়টি সমাঝোতা হয়।
Leave a Reply