মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাজধানীর মুগদা থানা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ পরিচয়ে লোকজনকে গাড়িতে তুলে জিম্মি করে অর্থ আদায় ও ডাকাতির অভিযোগে বছরখানেক আগেই তাঁরা সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) হন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। এ অবস্থায়ও তাঁরা অপকর্মের পথ ছাড়েননি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কনস্টেবল নাসিদুল ইসলাম, বেলাল হোসেন ও হাসান আল বান্না। তাঁরা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রিজার্ভ ও কল্যাণ ফোর্সে কর্মরত ছিলেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ ও কল্যাণ ফোর্সের ব্যারাকে থাকতেন।
মুগদা থানা পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ থেকে ফোন পেয়ে উত্তর মানিকনগরে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাসা থেকে এ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকালে শহিদুলের স্ত্রী ইতি আক্তার সাফিয়া তাঁদের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সাদা পোশাকে তিন ব্যক্তি পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে বাদীর বাসায় ঢোকেন। তাঁর স্বামী শহিদুলের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে লাখ টাকা চাঁদা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তাঁরা জানান। একপর্যায়ে শহিদুলের ভাতিজা তৌহিদুল ইসলাম তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে চান। কিন্তু তাঁরা এতে অস্বীকৃতি জানান। সন্দেহ হওয়ায় ইমন বাসার বাইরে গিয়ে ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান।
তাঁদের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতির প্রস্তুতি ও মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় শাহজাহানপুর ও যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে। এ দুই মামলার পর তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়।
মুগদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল হোসাইন সমকালকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে রোববার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।
Leave a Reply