গোপালগঞ্জে ৭ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম আরও এক দফা কমেছে। প্রতি কেস ডিমে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ৩০ টাকা। এখান গোপালগঞ্জের বাজারে প্রতিকেস ডিম (৩০টি) ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং জোরদার এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তৎপরতায় গোপালগঞ্জে ডিমের দাম কমেছে বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। এছাড়া বিক্রেতারা ডিমের দাম আরও কমার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
গোপালগঞ্জের ডিম ব্যবসায়ী তুষার ঢালী বলেন, ১৮ দিন আগে হঠাৎ করে প্রতিকেস ডিমের দাম ৩৬০ টাকায় উঠে যায়। এরপর ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করে। সেই সঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তৎপরতায় গত সপ্তাহে কেস প্রতি ডিমের দাম ৬০ টাকা কমে। তখন প্রতিকেস ডিম ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এরপর এ সপ্তাহে বাজারে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিকেস ডিমে ৩০ টাকা কমেছে। এখন প্রতিকেস ডিম হাট-বাজারে ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২ সপ্তাহে দুই দফায় প্রতিকেস ডিমে মোট ৯০ টাকা কমেছে। এখন সাধারণ মানুষ বেশি বেশি করে ডিম কিনছেন।
ডিম ক্রেতা ইয়ার আলী শেখ বলেন, ডিমের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। দুই বার ডিমের দাম কমেছে। এখন ডিম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। বজারে মাছের আমদানি কম। তাই ২৭০ টাকা দিয়ে ১ কেস ডিম কিনেছি। ডিমের দাম কমায় আমরা স্বস্তি পাচ্ছি।
শারমিন সুলতানা নামে এক গৃহিণী বলেন, ডিম ছাড়া ১ দিনও চলে না। ডিম আমাদের আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এখন বাজারে মাছের সংকট চলছে। তাই মাছের দাম একটু বেশি। এই অবস্থায় আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে ডিমই ভরসা।
ডিম ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিকদার বলেন, প্রশাসনের তৎপরতায় বাজারে ডিমের দাম কমেছে। বজারের ডিমের আমদানি বেড়েছে। এভাবে আমদানি অব্যাহত থাকলে ডিমের দাম আরও কমতে পারে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান বলেন, ডিমসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতি মুনাফা খোর অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করছি। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে আমাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply