নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে তার নিজ বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। সেখানে আজ তার শারীরিক বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল তিনি বাসায় ফিরবেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে খালেদা জিয়ার কিছু টেস্ট করানোর জন্য হাসপাতালের নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসময় তার সঙ্গে ভাই শামীম এস্কান্দর, ভাবী কানিজ ফাতেমা, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুবদল সভাপিতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট বিকেলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশক্রমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার নেতৃত্বাধীন একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সর্বশেষ গত ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তখন শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। বিএনপি তাকে বিদেশ নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায়ই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে ছয় দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
বহু বছর ধরে আর্থ্ররাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
Leave a Reply