পোশাক নিয়ে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৬ আগস্ট গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে দেখা যায়, একটি মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলেন, সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যাওয়া যায় কি-না? কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার অধিকার আছে কি-না? পোশাক সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না? যে সমাজে যাবেন, সে সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও একটি বিষয়। ঢাকায় এক, গ্রামে অন্য ধরনের।’
এই পর্যবেক্ষণকে ‘দেশীয় মূল্যবোধবিরোধী পোশাকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায়’ উচ্চ আদালতকে অভিবাদন ও স্যালুট জানান মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ঢাবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একদল শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা জেরিন বলেন, সংস্কৃতি অবশ্যই পরিবর্তনশীল। কিন্তু আমরা যে সংস্কৃতি গ্রহণ করবো, সেটা অবশ্যই আমাদের দেশীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। আজকাল পোশাকের স্বাধীনতার নামে যে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করা হচ্ছে, তা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। এটা এক ধরনের কালচারাল টেরোরিজম।
অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ রবিউল করিম বলেন, পোশাকের স্বাধীনতার নাম দিয়ে যারা পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে বলেছেন উচ্চ আদালত। পোশাকের স্বাধীনতার নামে আমাদের সমাজে যা হচ্ছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতিতে উচ্চ আদালতের গঠনমূলক পর্যবেক্ষণ আমাদের সমাজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, বাকস্বাধীনতার অর্থ যেমন অন্যকে গালি দেওয়া নয়, ঠিক তেমনি পোশাকের স্বাধীনতার অর্থ অন্যকে বিরক্ত করা নয়। পোশাকের স্বাধীনতার নামে এমন পোশাক পরা কখনই ঠিক না, যা গণ উৎপাত বা বিরক্তি তৈরি করে। এটি এক ধরনের ক্রাইম।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মারিয়া বলেন, প্রাইভেট প্লেসের পোশাক, আর পাবলিক প্লেসের ড্রেস কখনো এক না। অনেকে পোশাকের স্বাধীনতার নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, এটা অন্যায়।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের মুমতাহিনা শমি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মারিয়া, ক্রিমিনোলজি বিভাগের হেলাল হোসেন ও শাকিব খান প্রমুখ।
Leave a Reply