বগুড়ার আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন পাইকারি বাজারে ৫০ টাকায় মিলছে এক কেজি মরিচ। তবে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ টাকার কেজির কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি মাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় মরিচ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে,আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর, মঙ্গলপুর, জিনইর, কাশিমালা, শিবপুর, কড়ই, সালগ্রাম, আমইল, তেতুলিয়া, ছাতিয়াগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ কিছুটা বেশি ছিল। বাজারে তেল, ডাল, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০টাকা কেজিতে। এতে মরিচচাষীরা লাভবান হলেও হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে মরিচের দাম মাত্র ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, পাইকাররা এখান থেকে কাঁচা মরিচ কিনে ঢাকা -চট্টগ্রাম -সিলেট -কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকযোগে সরবরাহ করেন।
আমইল গ্রামের মরিচ চাষী জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবার বেশি জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে জমি তৈরি, লাগানো, ফসলে খাবার, পোকা দমনে ওষুধ প্রয়োগ, পরিচর্যা শ্রমিকের মজুরিসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। পাইকারি বাজারে ২০০ টাকা কেজির মরিচ এখন হঠাৎ করে মাত্র ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। মরিচ চাষ করে দাম কম পাওয়ায় তারা হতাশায় পড়েছেন।
কাঁচা মরিচ পাইকার ব্যবসায়ী সোহেল ও ফারুক হোসেন জানান, হাট বাজারে কাঁচা মরিচ হঠাৎ করে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মোকামে মরিচের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। মোকামে চাহিদা বাড়লে আবারও মরিচের দাম বাড়বে।
Leave a Reply