জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার খবর শুনেই খুলনার কয়রার তেলের দোকানগুলোতে শুক্রবার রাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। শনিবার সকাল থেকে বেশি টাকা দিয়েও জ্বালানি তেল মিলছে না কোথাও।
এ উপজেলার কোথাও ফিলিং স্টেশন বা পেট্রোল পাম্প না থাকায় প্রতিটি বাজার ও রাস্তার মোড়ের দোকানে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করতে দেখা যায়। শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকে এসব খুচরা দোকানে স্থানীয় মোটরসাইকেল চালকদের ভিড় বাড়তে থাকে। সেখানে তেল না পেয়ে অনেকেই পাশের পাইকগাছা উপজেলার পেট্রোল পাম্পে চলে যাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, সেখানে ১০০-২০০ টাকার বেশি পেট্রোল দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে জ্বালানি তেল পাওয়া যায়নি। অনেকেই মোটরসাইকেল বাড়িতে রেখে পায়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে চেপে জ্বালানি তেল সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। তারা জানিয়েছেন, উপজেলা সদরের দোকানগুলোর তেল শেষ হয়ে গেছে রাতেই।
তেল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তেলের দাম বাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই গাড়ি চালকরা তেল নিতে দোকানে দোকানে ছুটতে থাকেন। অনেকেই রাতে বন্ধ দোকান খুলে তেল বিক্রি করেছেন। এক রাতে তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সকালেই দোকানের মজুত তেল ফুরিয়ে গেছে।
কালনা বাজারের তেল বিক্রেতা মহসীন মোল্লা বলেন, ‘পেট্রোলের দাম বাড়ার খবর জানতাম না। সকালে দোকান খুলতেই দুই ব্যারেল তেল আগের দামেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন আমার দোকানে তেল নেই।’ একই অবস্থা অন্যসব দোকানেও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার খবরে অনেক বিক্রেতা দোকানের তেল সরিয়ে ফেলেছেন। আরও বেশি দামে বিক্রির আশায় তেল মজুত রেখেছেন তারা। কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটার পেট্রোল ২০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আব্দুল মালেক মোটারসাইকেলে যাত্রী বহন করেন। তিনি বলেন, ‘গাড়িতে যে তেল আছে তা দিয়ে দুই-একটা ট্রিপ মারতে পারব। এরপর কী হবে বুঝতে পারছি না। মোটরসাইকেল বন্ধ হলে পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হয়ে যাবে।’
স্থানীয় নাগরিক কমিটির নেতা ইমতিয়াজ উদ্দীন বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ায় সংকট আরও বাড়বে। পণ্য আনা-নেওয়াসহ সব ধরনের পরিবহনের ভাড়া বেড়ে যাবে। এতে করে নিত্য পণ্যের দামেও এর প্রভাব পড়বে।’
Leave a Reply