বর্তমান নিউজ.কমঃ
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ভোলায় সমাবেশে পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়া ও বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ২ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাষাড়া শহীদ মিনারে জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেলের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, এ্যাড. জাকির হোসেন, আতাউর রহমান মুকুল, হাজী নুরুউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব,
এ সময় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, আমি আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রশ্ন করতে চাই আপনাদের হাসিনা আপার পরে কে দল পরিচালনা করবে। বড় আপার ছেলে জয় নাকি ছোট আপার ছেলে ববি। আমি জানি আপনার এই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কিন্তু পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই বিএনপির নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়া ছিলো থাকবে। তার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে দল পরিচালনা করবে তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান এটাতে কোন সন্দেহ নাই। তাই এখন সময় আছে বিএনপির ভবিষ্যত্ব নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তা না করে, আপনাদের দলের ভবিষ্যত্ব নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তা করুন।খেলা শুরু হয়ে গেছে অনেক আগে থেকে এখন সবাই প্রস্তুত। আমরা এখন থেকে সব সময় মাঠে আছি থাকবো কর্মসূচি একটার পর একটা থাকবেই।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ভোলা জেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরকার টিকে থাকতে পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। আমি পুলিশকে বলতে চাই আপনারা আপনারা আর এই কাজ করবেন না। আপনারা জনগনের পক্ষে আসুন। অন্যথায় ৯০ এর গণ আন্দোলন দেখেছেন। সেই আন্দোলনে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করেও টিকে থাকতে পারেনাই।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার জনগন থেকে বহু আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে তাদের অস্থিত্ব নিয়ে টান দিবে। তাইতো শেখ হাসিনা সরকার তার অধিনেই নির্বাচন দিতে চাইছে। মনে রাখবেন এই দেশে আর রাতের আধারে ভোটচুরি করতে দেওয়া হবে না। আপনাদের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। এখনও সময় আছে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। বেশি দিন প্রশাসনের উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, দেশে আবারও ৭৫ এর দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। তাই এখনও সময় আছে দেশ ও জনগনের কথা মাথায় রেখে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিন। বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ বিদেশের মাটিতে মুখ দেখাতে পারে না। কারন সেই দেশের মানুষ যখন প্রশ্ন করে তোমাদের দেশে নাকি ভোট চুরি হয়, তখন তারা মাথা নিচু করে থাকে। শেখ হাসিনা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে তারা ১০টি সিটিও পাবে না।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, গুম খুন করে আমাদের রাজপথ থেকে আমাদের সড়াতে পারবেন না। কারন জিয়ার সৈনিকেরা এবার গর্জে উঠেছে। আমি প্রশাসনকে বলতে চাই আপনারা আওয়ামীলীগের চাকরী করেন না। আপনারা জনগনের চাকরী করেন। দেশেদ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে আপনাদের পািরাবও এর শিকার হচ্ছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা আপনাদের পরিবারের সদস্যরা ভোগান্তিতে পরছে। তাই কোন দলের হয়ে নয় দেশের সেবক হয়ে জনগনের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করুন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তরিকুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি নেতা আনোয়ার মাহমুদ বকুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, দুলাল হোসেন, আব্দুর রশিদ হাওলাদার,
জেলা বিএনপি নেতা একরামুল করিম মামুন, এ্যাড. আলমগীর, রুহুল আমিন, এ্যাড. আলামিন, সদর থানা ছাত্র দলের আহবায়ক সাদ্দাম হোসেন,
মহানগর যুবদল নেতা সাইদুজ্জামান শহীদ, মঞ্জুরুল আলম মুছা, নবু হোসেন, মানিক বেপারী, জামাল প্রধান, তাওলাদ হোসেন সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply