ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেড়েছে হোগলা পাটি আর খাটিয়ার কদর। চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরে এসেছে হোগলা পাটি। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার দাম বেশ চড়া।
হোগলার পাটির চাহিদা শুধু কোরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানসহ কয়েকটি এলাকায় এসব পাটি তৈরি হয়। নারায়ণগঞ্জের সেখান থেকেই পাটি আসে। ঈদকে কেন্দ্র করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পাটি ও খাটিয়া নিয়ে বসেছেন মৌসুমি বিক্রেতারা। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে নগরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড় ও বাজারের সামনে পাটি আর খাটিয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের বসতে দেখা গেছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা দরদাম করে পাটি ও খাটিয়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
শহরের মণ্ডলপাড়া এলাকায় রফিকুল ইসলাম প্রতিটি পাটি ২০০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। একই মূল্যে ২ নম্বর গেটে পাটি বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী আবেদ আলী।
পাটির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পাটিগুলোর সারাবছর কোনো কদর থাকে না। কোরবানির ঈদের জন্য চার থেকে পাঁচ মাস আগে পাটি বানানোর জন্য অর্ডার দিয়ে আসতে হয়। তখন প্রতিটি পাটি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। গত বছর তাঁরা আরও কম দামে কিনেছেন।
অন্যদিকে কাঠের খাটিয়ার মূল্যও চড়া। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় বড় গাছ কিনে এনে কোরবানির পশু কাটার জন্য করাতকলে কেটে খাটিয়া তৈরি করা হয়। এ সময় আকারভেদে এক একটি খাটিয়ার দাম পড়ে ২০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
মণ্ডলপাড়ার খাটিয়া ব্যবসায়ী সবুজ জানান, বাজারে বিভিন্ন গাছের খাটিয়া রয়েছে। তবে মূলত তেঁতুল গাছের গুঁড়ি কোরবানির পশু কাটতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কারণ এই গাছের গুঁড়ি থেকে পাউডার ওঠে না, মাংস লেগে থাকে না এবং এগুলো বেশ শক্ত ও দামেও সস্তা হয়। একেকটি কাঠের গুঁড়ি আকারভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, অন্যান্য বছরের তুলনায় পাটি ও খাটিয়ার মূল্য দিগুণ বেড়েছে।
Leave a Reply