আর মাত্র একদিন পর পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। এ নিয়ে সেতুর দুই পাশে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশি বিদেশি অতিথি। উদ্বোধনের দিন, তার আগে এবং পরে নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের আবেগ আর ভালোবাসার স্থাপনা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সব শ্রেণি–পেশার মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস আর আনন্দ কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সাহসিকতায় অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার জন্য দক্ষিণের মানুষ প্রস্তুত’।
জানা গেছে, এরই মধ্যে সেতু এলাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ২৫ জুন উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। মোট তিন হাজার অতিথিকে উদ্বোধনের দিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটানোর পরিকল্পনা আছে। দুই প্রান্তেই সেতু উদ্বোধন হবে। ২৫ জুন সকালে মাওয়া প্রান্তে সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সুধী সমাবেশ হবে। মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচনের পর সেতু পেরিয়ে তিনি আসবেন জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজায়। সেখানে কয়েকটি স্থাপনার উদ্বোধন করে যাবেন শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে জনসভায়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেতু বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।
সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এর কোনো কাজই এখন বাকি নেই। সেতু, লাইটিং, অ্যাপ্রোচ সড়ক, টোল প্লাজা সবকিছুই প্রস্তুত আছে।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তিন হাজার সুধীজন। জাজিরা প্রান্তে যে জনসভা হবে, সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত।
Leave a Reply