বন্দর প্রতিনিধিঃ
বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের দশদোনা এলাকায় মাল্টিপারপাস ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আত্মসাৎকৃত অর্থ ও নথিপত্র ফেরত চেয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কাম ক্যাশিয়ার শাকিল এর বিরুদ্ধে (২১ জুন) মঙ্গলবার সকালে প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। যা হুবহু তুলে ধরা হলো। আমি মোঃ আরিফ হোসেন, পিতাঃ মৃত নূর মোহাম্মদ (নুরা), গ্রামঃ দশদোনা, ধামগড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ। আমি ২০১০ সালে আলসেবা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ প্রতিষ্ঠা করি।
যার প্রধান কার্যালয় অত্র ওয়ার্ডের হালুয়াপাড়া বাজারে স্থাপন করি। আমার স্ত্রীর বড় ভাই মোহাম্মদ শাকিল, পিতাঃ ফিরোজ আলী, তিনি আমাদের একই গ্রামের বাসিন্দা। ওনাকে অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কাম ক্যাশিয়ার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। যেখানে আমি ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করি। ৪-৫ বছর বহু কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা দাড় করাই। কিন্তু সেভাবে প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ দেখতে পাইনি।
পরে ২০১৭ সালে পুরো প্রতিষ্ঠানের হিসেব মিলালে ৩২ লক্ষ টাকা গড়মিল পাওয়া যায়। যেহেতু শাকিল তিনি আমার আত্মীয় সেহেতু বাইরে জানাজানি হলে সমস্যা এবং গ্রাহকরা জানতে পারলে বিশৃক্সখলা সৃষ্টি হতে পারে ভেবে তাকে সেই পদে বহাল রাখি। অত্র প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি মালিভিটা গ্রামের আলী আহাম্মদের উপস্থিতিতে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, শাকিল আস্তে আস্তে টাকা পরিশোধ করে দিবে। এ বিষয়ে শাকিল সম্মতি দেয়। পারিবারিকভাবে জানালেও এ বিষয়ের কোন কোন সুরাহা পাইনি।
২০২০ সালে একজন গ্রাহককে হয়রানী করার জন্য শাকিল মামলা দেয়, এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হয়। এ বিষয়ে শাকিলের সাথে ফোনে কথা বললে সে রাগ করে আর অফিসে আসেনি এবং আজ পর্যন্ত কোন হিসেব বুঝিয়ে দেয়নি। পরে হিসেব মিলিয়ে দেখলে ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা গড়মিল পাওয়া যায় এবং শাকিল ক্যাশিয়ার হিসেবে এই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে। সে আত্মসাতের উদ্দেশ্য বিভিন্ন ফাইল ও নথি নিয়ে গেছে। তার সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করি, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়স্বজনকে জানাই। সবাই তার সাথে যোগাযোগ করে কিন্তু সমাধান হয়নি। একজন আইনজীবীকেও তার বাসায় দফায় দফায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার কোন সাড়া পাইনী।
সে আমার সাথে তালবাহানা করতে থাকে ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সমস্ত ঘটনা জানার পর এই শোকে আমার পিতা জনাব নূর মোহাম্মদ মৃত্যুবরণ করেন। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রে আত্মসাৎকৃত টাকা ও নথিপত্র ফেরত চেয়ে আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পরে শাকিল আমাকে হয়রানী করতে ও ফাঁসাতে আদালতে আমার নামে মামলা করে। মামলায় উল্লেখ করে যে, আমি নাকি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছি। আমি বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি।
এই অর্থ আবার তাদেরকে চাহিদামত ফেরত দিতে হবে। শাকিলকে আমি বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু সে ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করায় আমি চরম বিপাকে পড়েছি। অত্র প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে শাকিল আত্মসাৎকৃত অর্থ ও নথিপত্র ফেরত দিবে বলে আমার প্রত্যাশা।
Leave a Reply