সিলেটের গোলাপগঞ্জে চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। সকাল থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে সব ধরনের মোবাইল অপারেটর নেটওয়ার্ক। এর ফলে কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
জানা গেছে, বন্যার পানির কারণে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দু-একটি গাড়ি চললেও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে যাত্রীরা চরমে দূর্ভোগে পড়েছেন। এমনকী পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারকাজে নৌকা পাওয়া যাচ্ছে না। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ অনাহারে রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ২৪ মে. টন চাল বন্যার্তদের মাঝে বরাদ্দ করলেও তা বন্টন সম্ভব হচ্ছে না। তবে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়ণ কেন্দ্রের আওতাধীন নেওয়া হয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে পানি আরও বাড়বে, তাই জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। গো
উপজেলার একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গোলাপগঞ্জ সদর ও ঢাকাদক্ষিণ বাজারের শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে যাওয়ায় তাদের কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানির কারণে ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে দিনভর পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছেণ্
এদিকে, পৌরসদরে হাজী জমির উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী জছির আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও সরকারি এম সি একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজে আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বাঘা ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের রান্না করা খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের সাহায্যে পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল প্রবাসী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির ও নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বন্যা কবলিত মানুষের সাহায্যে তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
Leave a Reply