1. admin@sobsomoynarayanganj.com : admin : MD Shanto
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ঝিনাইগাতীতে উজানে কমছে পাহাড়ি ঢলের পানি, বাড়ছে ভাটি এলাকায়

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২
  • ৬৬ বার পঠিত

মোঃ বিল্লাল হোসেন, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলের পানি উজান থেকে নেমে গেলেও ভাটি অঞ্চলে বাড়তে শুরু করেছে।

নতুন করে ভাটি অঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের পানির তোড়ে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ। পানিবন্দি হয়ে পরেছে শতশত মানুষ।

মহারশি নদীর দিঘিরপার, খৈলকুড়া, রামেরকুড়া,বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘিœত হচ্ছে। গত বুধবার থেকে দুদিনের অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃহষ্প্রতিবার সকাল থেকে মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ঝিনাইগাতী সদর বাজার,হাইওয়ে সড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিস পাড়াগুলো ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়।

সরকারি দপ্তরগুলোতে কর্মকান্ড ব্যাহত হয়। বৃহস্প্রতিবার বিকাল থেকেই নদীগুলোতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করে। তবে ভাটি এলাকায় ৪ টি ইউনিয়নে নতুন করে আরো প্রায় ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পরেছে শতশত মানুষ । আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে শতাধিক পুকুরের লাখ লাখ টাকা মূল্যের মাছ ভেসে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষী ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ধানশাইল – পানবর রাস্তার সুটিপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে বিধ্বস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। আহাম্মদনগর – মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা সদরে মহারশি নদীর পুর্বপাড় থেকে নলকুড়া রাস্তা, ডাকাবর থেকে শালচুড়া রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষির তেমন কোন ক্ষতি সাধিত হয়নি। ঢলের পানি দ্রæত নেমে যাওয়ায় সামান্য কিছু শাক সবজির ক্ষতি সাধিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিকটন জিআর এর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Bartoman News
Theme Customized By Theme Park BD