বর্তমান নিউজ.কমঃ
ফতুল্লা ইসদাইরে কিশো গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৫) নামে দশর শ্রেনির এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক!
তবে ঘটনায় এখন এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন, জয়, পিয়াস, ইয়াছিন, রুদ্র, অন্তর, রিপন বাকিরা এখনও অধরা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায়, ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সিসি টিভির ভিডিওতে দেখা যায় ধ্রুব চন্দ্রকে ১০/১২জন ছেলে সাথে যেতে তার পরেই তাকে হত্যা করা হয়।
কিন্তু সিসি টিভি ভিডিওতে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরি স্কুল ১০ম শ্রেনীর ছাত্র পিয়াস দাস (১৬) ও তার বন্ধুরা মিলে মুদি দোকান থেকে একটি দেশি চাকু নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
নিহত, ধ্রুব চন্দ্র দাস এর বাবা জানান, আমার ছেলেকে ঘর থেকে ডাক দিয়ে নিয়ে পিয়াস ও কার বন্ধুরা মিলে হত্যা করেছে এবং পিয়াসকে বাচানোর জন্য ফতুল্লা থানা পু্লিশকে টাকা দিয়ে তারা অন্য আরেক জন্যকে প্রধান আসামি বানিয়েছে। যাতে পিয়াস এর এ হত্যা মামলা থেকে বেচে যায়। কিন্তু আমার ছেলেকে কেন ওরা হত্যা করলো আমি এখনো সেটা জানি না। আমি পু্লিশকে ফোন দিলে তারা আমার উপরে রাগ দেখায় আর বলে আমরা কি বসে আছি আপনাদের জন্য।
তিনি আরো বলেন, আমি ছেলে হারিয়েছি তাই আমার ছেলের হত্যা কারিদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
নিহত,ধ্রুব চন্দ্র দাস এর হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইয়াছিন এর মা বলেন, আমার ছেলে ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলো কিন্তু ও ধ্রুবকে মারে নাই ওল্টা ওকে বাচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ঘটনার সাথে জরিত থাকায় প্রথমে ৪নাম্বার আসামী ছিলো পরে এক রাতে প্রধান আসামী বানিয়ে দিলো পুলিশ পিয়াস এর বাবার কাজ থেকে টাকা খেয়ে। আমি এঘটনার আসল আসামীদের বিচার দাবি করছি যদি আমার ছেলে সাজা হয় হক।
পিয়াস এর বাবা পুলিশকে টাকা দেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি পু্লিশকে কোন টাকা দেই নাই। আমি গরীব মানুষ ফুটপাত এর উপরে দোকান দারি করি এতো টাকা আমি কি করে দিবো।
এবিষয় নিয়ে এলাকাবাসী বলছেন, ধ্রুব চন্দ্র খুব ভালো একটি ছেলে কিন্তু কেন তাকে হত্যা করা হলো এখনো কিছু জানি না। আমরা আসল যে হত্যা কারি ও ধ্রুবকে যারা মেরেছে তাদের সঠিক বিচার চাই।
এ ঘটনা এসআই ইমামুল হোসেন বলেন, আমরা কাজ করছি যারা এখনো পলাতন আছে তাদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। পুলিশ টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করেন। বলে আমরা খুব তারাতারি তাদের গ্রেফতার করবো।
Leave a Reply