প্রতিদিনের বিক্রি ও মজুতের তথ্য জেলা খাদ্য বিভাগ ও প্রশাসনকে জানাতে হবে- এই মর্মে স্থানীয় মিল মালিকদের জন্য নিয়ম করে দিয়েছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। কোনো মিল মালিক এই নিয়ম পালনে অসযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি মিল ও চাতাল ভাড়া নিয়ে লাইসেন্সবিহীন কেউ চাল উৎপাদন করে বাজারজাত করতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালের বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় মিল মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ছাড়াও জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুবীর নাথ চৌধুরী, চালকল মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক, অন্য অংশের সভাপতি আব্দুস সামাদ, সম্পাদক জয়নাল আবেদিনসহ মিল মালিক ও সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খাজানগরের অনেক মিলে অবৈধ লেভেল লাগিয়ে বস্তা তৈরি করে ইচ্ছামতো নাম বসিয়ে চাল বাজারজাত করা হচ্ছে। এটা এখন থেকে করা যাবে না। কোনো মিল চাতাল ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। যার নামে মিল ও চাতাল, তার নামে সব বাজারজাত করতে হবে। পাশাপাশি ধান ও চালের প্রতিদিনের মজুত পরিস্থিতি প্রশাসনকে জানাতে হবে।’
মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ধান ও চালের বাজার নিয়ে বারবার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা আমাদের কথা তুলে ধরেছি। বাজার এখন ওপেন। এখানে সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই।’
চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘কথায় কথায় মিল মালিকদের দোষারোপ করলে হবে না। ধানের দাম রেকর্ড বেড়েছে। তার সঙ্গে সব খরচ বেড়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
Leave a Reply