ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নকে আরও আধুনিক ইউনিয়ন গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকরাম আলী।
সারাদেশে অনুষ্ঠিত ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে হ্যাট্টিক গড়েছেন তিনি।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আকরাম আলী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
আকরাম আলী ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো নিকটতম ওই ইউনিয়নের গরুর গাড়ি প্রতীকে ৮,২০০ ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদন্দী এটিএম মাহাবুব ছাতা প্রতিক নিয়ে ভোট পান ৩৩০০ টি।
পরে দ্বিতীয় বার ২০১৬ সালে নৌকা প্রতিক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আকরাম আলী অত্র ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৭৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। আকরাম আলীর রাজনৈতিক হাতেখড়ি শুরু দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য থেকে। জীবন থেকে।
এর পর দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে দীর্ঘ ১০ বছর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সাল হতে আওয়ামী লীগ কে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসতেছেন।
ইউনিয়নবাসী রবিন চন্দ্র জানান, আকরাম চেয়ারম্যান একজন ভালো মনের মানুষ যে কারও বিপদে তিনি দ্রুত ছুটে যান এবং তিনি ইউনিয়নের জনগণের সুবিধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করছেন, সীমানা পিলার নির্মান করেছেন।
আরেক বাসিন্দা শফিকুল জানান, আকরাম চেয়ারম্যান এর কাছে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান সবাই সমান এবং তিনি ইউনিয়ন বাসী জন্য যথেষ্ট সময় দেন ডাকলে কাছে পাই।
মামুন জানান আকরাম চেয়ারম্যান হাওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের মামলা মোকদ্দমা সংখ্যা অনেক কমেছে। আগে অনেক মানুষ হয়রানি মুলক মামলার শিকার হতো।এখন মামলা মোকদ্দমা অনেক কমে গেছে।
চেয়ারম্যান আকরাম প্রতিবেককে বলেন, জনগণ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে পরপর তিন তিন বার বিপুল ভোটে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন এই ইউনিয়নের জনগণ। আমার ইউনিয়নের জনগণের জন্য আমি তিন তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমি চাই আমার ইউনিয়নবাসীর সেবা করে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে। আমি ছাত্র জীবন থেকে জনসাধারণের সেবা করতে পছন্দ করতাম এটাই আমার নেশা ছিল এলাকায় কোন মানুষের সমস্যা হলেও দ্রুত ছুটে যাইতাম।
তিনি আরও জানান, তার ইউনিয়নে মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক ভোট রয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমবার নিবার্চিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন ও মানব সেবায় আন্তরিক ভাবে কাজ করছি এবং দ্বিতীয় বারও অনেক কাজ করছি ইউনিয়নবাসীর জন্য। সে কারণে এলাকাবাসী বিপুল ভোটে তৃতীয় বারের মতো জনগণ তাকে চেয়ারম্যান নিবার্চিত করেছেন।
Leave a Reply