1. admin@sobsomoynarayanganj.com : admin : MD Shanto
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বক্তাবলী ইউপি মেম্বার রাসেল চৌধুরীর ও সিফাতকে জেলহাজতে প্রেরন বিএনপি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছে – বাবু চন্দন শীল কল্লা বাবার বাৎসরিক ওরশের ৪র্থ দিনে গিলাপ চড়ান কোরবান আলী মস্তান ও সোহাগ হোসেন মস্তান প্রয়াত মাহমুদুর রহমানের মৃত্যুতে মহানগর বিএনপির শোক সভা ও মিলাদ সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ মামলায় আসামি ৪২৩, বিএনপির ৭ নেতা গ্রেফতার ৩ দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে ১আগষ্ট থেকে অনির্দিষ্টিকালের জন্য জ্বালানী তেল উত্তলন ও পরিবহন বন্ধ মহানগর আ.লীগের শান্তি সমাবেশে সদর থানা কৃষক লীগের যোগদান শহরে তক্ষক সহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক ২ ডিবি পুলিশের অভিযানের মাদকসহ রোহিঙ্গা আটক

রাজিন হত্যা মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের ১৭ সদস্যের ৭ বছর কারাদণ্ড

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৩ মে, ২০২২
  • ৬৮ বার পঠিত

খুলনা পাবলিক কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন (১৪) হত্যা মামলায় দুটি কিশোর গ্যাংয়ের ১৭ জন সদস্যের প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুর দেড়টায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে সাব্বির হাওলাদার, বি এম মাজিব হাসান রয়েল, তুর্য্য, মো. রিয়ান শেখ ওরফে রেফাত, মো. ফাহিম ইসলাম মনি, মো. সানি ইসলাম আপন, জিসান খান, তারিন হাসান ওরফে রিজভী, শাকিব খান শিমুল, অন্তর কুমার দাস, হাকিম, সৈকত, শেখ সাকিব, আসিফ প্রান্ত আলিফ, শেখ তামিম, সাকরান সালেহ ওরফে মিতুল ও মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম। আসামিরা সবাই কিশোর গ্যাং রয়েল ও সাব্বির গ্রুপের সদস্য।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে পাবলিক কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে রাজিন নিহত হয়। অনুষ্ঠানস্থলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শেখ জাহাঙ্গীর আলম বাঈ হয়ে পরদিন ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও জানান,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এস আই মো. মিজানুর রহমান ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে হত্যার কারণ হিসেবে দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়। নিহত রাজিনের এক সহপাঠী ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করা এবং স্থানীয় কিশোর গ্যাং রয়েল ও সাব্বির গ্রুপের সঙ্গে রাজিনের পূর্ব থেকে দ্বন্দ্ব থাকা। বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার পর আসামিদের কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামিরা আদালতের বারান্দায় দাড়িয়ে রাজিনের মা রেহানা খাতুনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়া তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের গালাগাল, মারধর করার চেষ্টা এবং ক্যামেরা লক্ষ্য করে পানি ছুড়ে মারে। এ সময় পুলিশ ছিল নির্বিকার।

নিহতের মা রেহানা খাতুন জানান, আদালতে দাঁড়িয়ে পুলিশের সামনেই আসামিরা তাকে হুমকি দিয়েছে। এছাড়া তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট নন। আসামিদের আরও কঠোর শাস্তি হলে তারা খুশি হতেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিউল আলম সুজন বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

এদিকে এ মামলার অপর আসামি নাজিমুল্লাহ ওরফে ফয়সাল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম আশিকুর রহমানের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Bartoman News
Theme Customized By Theme Park BD