ঢাকার পুরারা পল্টনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় পুলিশী তদন্ত ও আদালতে এক আসামীর স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোঃ কাউসার ওরফে রিফাতের নাম উঠে আসায় এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ওই সংসদ সম্মেলনে গিয়াসপন্থি হিসেবে পরিচিতি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সাবেক নেতাদের একটি অংশ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা বিএনপির সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, শ্রমিক দলের সাবেক নেতা নাজির আহমেদ নজির, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক নেতা আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, আবদুল হালিম জুয়েল, জুলহাস হোসেন খান, শ্যামল সরকার, মঈনুল হোসেন রতন, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
ঢাকার পুরানা পল্টনে গত ২৫ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রিফাতের নামে উঠে আসে। মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় স্থানীয়দের হাতে জুয়েল মীর ওরফে পাগলা জুয়েল নামে বিএনপির এক কর্মী আটক হয়। পরে পুলিশের হেফাজতে জুয়েল ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড হিসেবে নারায়ণগঞ্জের হৃদয় ও রিফাতের নাম জানিয়ে মোট ৩ জনের নাম প্রকাশ করে। জুয়েলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পল্টন মডেল থানা পুলিশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়িতে গত ২৮ এপ্রিল রাতে অভিযান চালায়। তবে অভিযান টের পেয়ে গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকে গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলেরা পলাতক রয়েছেন। আর ঘটনার পরদিন মামুন মাহমুদকে ঢাকা মেডিকেলে দেখতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাগর সিদ্দিকী। জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাগর সিদ্দিকী মামুন মাহমুদের ছবি ও তার অফিস জুয়েলকে দেখিয়ে দেয়।
Leave a Reply