মতলবে ডাক্তারের কথা বলে প্রবাসী স্বামীর টাকা-গহনা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও তামান্না আক্তার সুমী নামের এক গৃহবধূ। এ নিয়ে মঙ্গলবার ১৭ মে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, তামান্না আক্তার সুমীর পরকীয়ার স্বীকার হয়ে কোনো না কোনো প্রেমিকের সাথে যৌথ পরিকল্পনায় আমার সমস্ত সম্পদ আত্বসাধ করার দুরভি সন্ধি করে আমাকে পথে বসিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,তিনি নারায়ণপুর বাজার মোবাইলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকের সাথে তার পারিবারিক, অর্থনৈনিক লেনদেনসহ সকল প্রকার যোগাযোগ হতো বলে গণমাধ্যম কর্মীকে জানান,ঐব্যাক্তি প্রাণ নাসের ভয়ে আতংঙ্কে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম ।
এদিকে সৌদী প্রবাসী রফিকুল ইসলাম এর বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলা ১নং নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়ন পেয়ারীখোলা গ্রামের আবু তাহের পাটোয়ারীর ছেলে। তিনি সৌদী আরব ২৫ বছর ধরে জীবন জীবিকা তাগিদে কর্ম করে সেখানে অবস্থান করে আসছেন।
গত ২১ এপ্রিল ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন এবং নারায়নপুর শাহ আলমের আলীশান আবাসিক ৬ তলা ভবনের ৫ তলায় ভাড়া বাসায় উঠে স্ত্রী ও ১ মেয়েসহ একত্রে বসবাস করেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার ৩ নং খাদেরগাঁও ইউনিয়ন হুরমহিষা গ্রামে হানিফ মিয়াজী বাড়ির কালু মিয়াজী মেয়ে তামান্না আক্তার সুমী সাথে ইসলামী সরিয়াহ মোতাবেক ১৮ বছর আগে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোল জুড়ে নেমে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। বিয়ের পর বিশ্বাস করে স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে আয়ের সমস্ত টাকা জমা রাখতেন রেমিটেন্সযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ।
গত কয়েক বছর হলো তিনি সন্তানদের উজ্জল ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ভালো মানের লেখা-পড়ার কথা চিন্তা করে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নারায়নপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় রাখা শুরু করেন। তিনি আরোও জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানার বাহিরে থাকলেও পরে বিশ্বস্থসুত্রে জানতে পারি,নারায়নপুর বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ীর সাথে আত্বীয়র পরিচয় হয় । পরিচয়ে ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক মধুময় হয়ে গড়ে ওঠে। পরকীয়ার সুত্র ধরে প্রবাসীর স্ত্রী তামান্না আক্তার সুমী ডাক্তার দেখাবে কথা বলে গত শুক্রবার ১৩ মে বিকাল সাড়ে তিনটায় নগদ অর্থ ও সর্বস্ব নিয়ে বাসা থেকে অন্যত্র পালিয়ে যান। বাসা থেকে যাওয়ার সময় নগদ ৩১ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ ভরি স্বর্ণ এতে মোট আনুমানিক ৪১ লাখ টাকা নিয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, গতকাল্য অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার সত্যতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply