চাঁদপুরে জেলা ও দায়রা জজের খাস কামরার তালা ভেঙে ভেতরে থাকা জিনিসপত্র বস্তায় ভরে ডোবার পাশে ফেলেছে কে বাবা কারা। শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে এই ঘটনা ঘটে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো চোর এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
জানা যায়, জজের খাস কামরার এমলিফায়ার, সিসিটিভির মনিটর, কম্পিউটার সিপিইউ, টিসু বক্স, চমশা, মাইক সেট, ফ্লাক্স, গাড়ির কাগজসহ বেশ কয়েকটি মাল্টিফ্লাগ বস্তা ভর্তি অবস্থায় কোর্ট এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি ডোবার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জেলা ও দায়রা জজের খাস কামরা থেকে কোনো প্রকার নথি খোয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া জেলা জজের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত আলমিরা ভেঙে জামা-কাপড় ও কাগজপত্র ফ্লোরে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যে বা যারাই এই কাজ করেছে তারা দীর্ঘ সময় জেলা জজের খাস কামরায় ও এজলাসে অবস্থান করেছে। তবে কোর্ট এলাকায় দায়িত্বরত দুই নৈশ প্রহরী বিষয়টি টের পায়নি। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
একজন বিচারক সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৮টার পরে জেলা জজের অফিস সহায়ক বাসু দরজা খুলতে এসে দেখে জজের খাস কামরার দরজার খোলা। দরজা খোলা দেখে অফিস সহায়ক বাসু বিষয়টি নাজিরকে অবগত করেন। পরবর্তীতে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিপিআই এর টিম ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনা জেনে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, কোর্টের বাইরে থেকে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। চোর ধরার জন্য আমাদের পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আদালতের ঊর্ধ্বতন এক কর্তকর্তা জানান, চোর জজ সাহেবের খাস কামরা থেকে এমলিফায়ার, সিসিটিভির মনিটর, কম্পিউটার সিপিও, টিসু বক্স, চমশা, মাইক সেট, ফ্লাক্স, গাড়ির কাগজ, বেশ কয়েকটি মালটিফ্লাগ নিয়ে যায়। সে জিনিসপত্রগুলো দুটি বস্তায় ভরে পাশে একটি ডোবার পাশে ফেলে যায়। পরে পুলিশ সিআইডি ও পিপিআই এর টিম ঘটনাস্থলে এসে ফেলে যাওয়া জিনিসিগুলো পর্যবেক্ষণ করে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইনচার্জ আবদুর রশিদ জানান, পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজ দেখছে। তবে তিনি জানান, বিচারকরকরা জানিয়েছেন, যা যা খোয়া গেছে সেসব উনারা পেয়েছেন। তারপরও আরও কিছু আছে কিনা তা দেখছেন। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো এজাহার দাখিল হয়নি।
ওসি জানান, চোর ধরার জন্য পুলিশ তৎপর আছে। এই ঘটনায় রাতে পাহারায় থাকা দুই নৈশ প্রহরীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Leave a Reply