অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চট্টগ্রামে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনার সাত ঘণ্টার মধ্যে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার নগরের আকবরশাহ থানার জঙ্গল লতিফপুর, পাকা রাস্তার মাথা ও বন্দর থানার পিসি রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলো- বোয়ালখালী উপজেলার কদুরখীল গ্রামের সাইফুদ্দিন ওরফে সাইফুল মিস্ত্রির ছেলে মো. নয়ন, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার আবুল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ ও চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার নরিমপুর গ্রামের মো. সোলাইমানের ছেলে আবদুল লতিফ। তাদের মধ্যে নয়ন ও আরিফকে গত বছরের ১০ এপ্রিল এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী পরিবারের সঙ্গে রাগ করে কুমিল্লা থেকে শনিবার চট্টগ্রামে আসেন। পরে তিনি বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেননি। রেললাইন ধরে কয়েক কিলোমিটার হাঁটার পর ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত হয়ে আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকার এনআর স্টিল মিল সংলগ্ন মীর আওলিয়ার মাজারের কাছে একটি ঘরের পাশে খোলা জায়গায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
ওই সময় তাকে দেখে আসামি নয়ন তার সঙ্গে কথা বলে এবং তার ঘরে নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে রেখে কোনো কর্ম ঠিক করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তরুণী রাজি হলে নয়ন কৌশলে আরিফ ও লতিফকে ডেকে আনে। তিনজন মিলে তাকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ধর্ষণের পর ফেলে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, তরুণী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ধর্ষণে জড়িত তিনজনের শারীরিক গঠনের বর্ণনা শুনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে পুলিশ। প্রথমে জঙ্গল লতিফপুর থেকে আরিফ, পরে পাকা রাস্তার মাথা থেকে নয়নকে এবং বন্দর থানার পিসি রোড থেকে লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। নয়ন ও আরিফ এর আগেও এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা আবারও একই অপরাধে জড়িয়েছে।
Leave a Reply