তীব্র রোদের পর শুক্রবার রাতে বৃষ্টিতে ভিজল দেশের বিভিন্ন এলাকা। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়ও। তবে বৃষ্টি-ঝড়ে সাময়িক প্রশান্তি এলেও সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে আরও দুদিন। এরপর ঝরতে পারে বৃষ্টি। এর মধ্যে একটি অশনি সংকেতও রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়, যা পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, তাপ্রবাহ আরও দুই দিন থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা সহনীয় হতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ৫ মের পর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ, যা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। প্রবল শক্তি নিয়ে সেই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে।
ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনও কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এ বিষয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সমকালকে বলেন, ৭ মে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করছে আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও কানাডার আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল। এ বছরের এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়নি। ফলে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে। ফলে সম্ভব্য এ ঘূর্ণিঝড়টি অনেক শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা আছে।
২০২০ সালে সুপার-সাইক্লোন আম্পান সৃষ্টি হয়েছিল ১৫ মে ও স্থলভাগে আঘাত করেছিল ২০ মে।
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল অনুসারে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ১০ মে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করলে ১১ মে থেকে ১৪ মে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
Leave a Reply