ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১নং ঢোলারহাট ইউনিয়নে ইউপি সদস্য ভিজিএফ চালের বন্টন না পেয়ে নিজ অর্থায়নে তার নিজের ওয়ার্ডের হতদরিদ্র ২৬ জন মানুষের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র মতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়নের প্রায় ১৩ শত উপকার ভোগীর জন ১০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়। তবে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসেন আলীর এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ২২ টি উপকার ভোগীর তালিকা চাওয়া হলে ইউপি সদস্য আরও কিছু বেশি উপকার ভোগীর নাম দিতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় নাখজ করেন।
একই দিনে ইউপি সদস্য কাজী ফার্ম মোড় নামক স্থানে তার নিজে ওয়ার্ডের হতদরিদ্র ২৬ টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ হিসেবে নিজ অর্থায়নে চাল বিতরণ করেন।
এ সময় ইউপি সদস্য আবু হোসেন বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বিভিন্ন ভাবে ইউপি সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করে। তিনি আরও বলেন, ভিজিএফ চাল বিতরণের মিটিং এ আমি বৃষ্টির কারণে উপস্থিত হতে না পারায় ইউপি সদস্যদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। কোন ওয়ার্ডে বন্টন করা হয়েছে ১০০ আবার কোন ওয়ার্ডে ৫০ আমার ওয়ার্ডে মাত্র ২২ টি ভিজিএফের কার্ড দেন। আমি বারবার অনুরোধ করার পর তিনি আমাকে বলে তোমাকে চাল বিতরণ করার দরকার নেই আমি বিতরণ করব আজকে ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ করার কথা শুনে আমার এলাকার হতদরিদ্র লোকজন চাল আনতে গেলে তারা ফিরে এসে আমাকে মুঠোফোনে জানান তারপর আমি নিজস্ব অর্থায়নে ২৬ টি উপকার ভোগী পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করি।
ইউপি সদস্য হোসেন আলীর নিজস্ব অর্থায়নে চাল পাওয়া রোজিনা সহ অনেকে বলেন, আমরা পরিষদ থেকে ঘুরে আসছি চাল না পেয়ে পরে মেম্বার হোসেন আলী আমাদের কে চাল বিতরণ করেন আমারা এখন ঈদ টা করতে পারব।
চাল বিতরণে উপস্থিত থাকা ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লক্ষন চন্দ্র বলেন, বিষয় টা আসলে খারাপ লাগলো একজন নির্বাচিত ইউপি সদস্য তার প্রাপ্য বন্টন তাকে দেওয়ার দরকার।
২১ নং ঢোলারহাট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিমান্ত কুমার বর্মন নির্মল বলেন, আমি বিষয় টা কেবল জানলাম আসলে একজন চেয়ারম্যানের উচিত তার প্রতি টা ইউপি সদস্যর মধ্যে সমবন্টন করা কিন্তু কেন ইউপি সদস্য হোসেন আলী তার ওয়ার্ডের বরাদ্দ কৃত ভিজিএফ এর চাল বন্টন করতে পারলেন বিষয় টা বোধগম্য হচ্ছে না।
ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, আমি তাকে ২২ টি ভিজিএফ এর তালিকা দিতে বলি তিনি আরও বেশি চায় এবং না দিলে দিতে হবে না বলে জানায় তাই আমি ঐ ওয়ার্ডের মাসুদ, রশিদুল এবং হাসিবুল এর মাধ্যমে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান বলেন, ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ কমিটির সভাপতি হল চেয়ারম্যান তার অবশ্যই সুষ্ঠ ভাবে ইউনিয়নের উপকার ভোগীদের মাঝে বিতরণ করা। আর ইউপি সদস্য গণ হচ্ছে সেই কমিটির সদস্য, তাদের উচিত সুন্দর করে সুন্দর ভাবে বন্টন করা। এই বিষয় আমি এখনো কোন অভিযোগ পাইনি পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
Leave a Reply