1. admin@sobsomoynarayanganj.com : admin : MD Shanto
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শামীম ওসমান, দোয়া চাইলেন অয়ন কোচিং ব্যবসায় ক্ষতি হবে, তাই নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী নজরদারিতে আছেন আরাভ খান: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মায়ের গালির শোধ নিতে শিশুপুত্রকে হত্যা: পুলিশ জমিদার বাড়ির ছাদে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার তিন হামলায় থাকলেও মামলায় নেই আমির বাহিনীর অস্ত্রধারীরা! শ্রীবরদীর সিংগাবরুনা ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্ডের চাল বিতরণ ঈদুল ফিতরের আগে চতুর্থ দফায় নারায়ণগঞ্জে আরও ২৫৫ ভূমিহীন-গৃহহীন মাঝে ঘর বিতরন ঝিনাইগাতীতে ভুমিহীন মুক্ত হচ্ছে, ১২৩ ঘর পাচ্ছে গৃহহীনরা সত্যিই কি মুসলমানদের প্রিয় মাস রমজান

সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ৯০ বার পঠিত

ভাতা পেনশনে যোগ হবে না, অর্থ মন্ত্রলালয়ের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রেলের চালকসহ রানিং স্টাফদের আকস্মিক কর্মবিরতিতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার রাত ৩টা থেকে ট্রেন চালাচ্ছেন না তারা।

রানিং স্টাফরা দিনে ১০০ মাইলের বেশি ট্রেন চালালে একদিনের বেতনের সমপরিমাণ মাইলেজ ভাতা পান, যার ৭৫ শতাংশ পেনশনে যোগ হয়। ১৬০ বছর ধরে এ নিয়ম চলে আসছে। কিন্তু ৪ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় মতামত দেয়, আইনানুযায়ী ভাতা পেনশনে যোগ করা সম্ভব নয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তখন থেকেই আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল তাদের। পরে রেল সচিবের সঙ্গে বৈঠকে তা স্থগিত হয়।

ওই বৈঠকে চুক্তি হয়, ১৬০ বছরের পুরনো নিয়মে মাইলেজ ভাতা বহাল রেখে তার ৭৫ শতাংশ পেনশনে যোগ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে রেল মন্ত্রণালয়। কিন্তু গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় চিঠিতে জানিয়ে দেয়, ‘বেসামরিক কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক হিসাব করার ক্ষেত্রে কোনো ভাতা যোগ করে হিসাব করা সম্ভব নয়। ফলে রানিং স্টাফদের মূল বেতনের সঙ্গে ভাতা যোগ করে পেনশন হিসাবের প্রস্তাবে পুনরায় অর্থবিভাগের অসম্মতি জানানো হলো।’ রোববার এ চিঠি রেল মন্ত্রণালয়ে এলে মঙ্গলবার রাতে জানাজানি হয়।

চিঠির বিষয়টি জানাজানির পর বিক্ষুব্ধ রানিং স্টাফরা কাজে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান। রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সমকালকে বলেছেন, ‘সমিতি কর্মসূচি বা অন্য কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতির বিষয়টি জানার পর রানিং স্টাফরাই বিক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেন চালাচ্ছেন না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ট্রেন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

এদিকে সারাদেশে একযোগে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় লাখো যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন। তাদের অধিকাংশ আগাম টিকিট কেটেছিলেন। ট্রেন না চলাচল করায় তারা গন্তব্যে যেতে পারছেন না।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপরারেশন সরদার সাহাদাত আলী সমকালকে বলেছেন, ‘মধ্যরাত থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি। তবে কোনোটির যাত্রা এখনও বাতিল করা হয়নি। চালক, স্টাফ না থাকায় বিলম্ব হচ্ছে। ট্রেন চালাতে রানিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের দাবির বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে। রেলওয়ে বা রেল মন্ত্রণালয় তাদের ভাতা বাতিল করেনি। বরং রেল মন্ত্রলালয় তাদের পক্ষ নিয়ে পূর্বের নিয়মে ভাতা বহাল রাখতে অনুরোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয়কে একাধিক চিঠি দিয়েছে।’

অপরদিকে রানিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা করতে সকাল ১১টার দিকে কমলাপুরে যান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, রেলের মহাপরিচালক ডিএন মজুমদারসহ উর্দ্ধতন সব কর্মকর্তা। একই সময়ে রেলের মাসিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মন্ত্রীর সভাপতিত্বে। সব উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকদের তাতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সভা হয়নি ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায়।

বুধবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা ১১ পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৭টি আন্তনগর ট্রেন ছাড়েনি। লোকাল ও মেইল ট্রেনের হিসাব জানা যায়নি। কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার সমকালকে বলেছেন, যাত্রীদের ভোগান্তি তো হচ্ছেই। স্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন। কেউ যদি যাত্রা বাতিল করতে চান, তাকে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

দিনে ১০০ মাইলের বেশি ট্রেন চালালে একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা ১৮৬০ সাল থেকে রানিং ভাতা হিসেবে পেয়ে আসছেন গার্ড, চালক তথা রানিং স্টাফরা। রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো রফিক চৌধুরী সমকালকে বলেছেন, রেলের সংস্থাপন কোডে ভাতা ও তা পেনশনে যোগ করার বিধান রয়েছে। কোডের একাংশ মেনে ভাতা দেওয়া হলে তা পেনশনে যোগ করতে অসুবিধা কোথায়?

রানিং স্টাফরা বলেছেন, ভাতা পেনশনে যোগ না পর্যন্ত তারা ট্রেন চালাবেন না। ট্রেন চালালেও আট ঘণ্টার বেশি চালাবেন না। রেলওয়েতে কমপক্ষে এক হাজার ৮৮৫ জন চালক প্রয়োজন। রয়েছেন মাত্র এক হাজার ১৮ জন। একজন লোকো মাস্টার অর্থাৎ চালককে দিনে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা চাকরি করতে করতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, একজন চালক আট ঘণ্টা কাজ করার পর কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা বিশ্রাম তার পাওনা। কিন্তু সঙ্কটের কারণে বিশ্রাম না করে চালকরা ট্রেন চালান। এ কারণে তারা দিনে ১০০ মাইল ট্রেন চালালে বা আট ঘণ্টা ওভার টাইম করলে এক দিনের সমপরিমাণ ভাতা পান। প্রসঙ্গত, চালক, টিটি, গার্ড এবং অ্যাটেনডেন্সদের রানিং স্টাফ বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Bartoman News
Theme Customized By Theme Park BD