দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে চেয়ে টেস্টেই ভালো করার সুযোগ বেশি ছিল বাংলাদেশ দলের। টাইগারদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে পূর্ণ শক্তির দক্ষিণ আফ্রিকা দল খেলেছে। অন্য দিকে টেস্টে কাগিসু রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি এবং এনরিক নরকিয়ার মতো আগুন ঝরানো পেসাররা ছিলেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে পেস সহায়ক উইকেটে এর চেয়ে সুবিধা প্রত্যাশা করতে পারতো না বাংলাদেশ। টেম্বা বাভুমার দলের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টেস্ট দলের কাছে প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল। মুমিনুল হকের দল আত্মবিশ্বাসও পেয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যেকোন ফরম্যাটে প্রথমবার সিরিজ জয়ের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া দিচ্ছিল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের তরতাজা স্মৃতি। কিন্তু টেস্টের নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করতে না পেরে ডারবান ও পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে শেষ দুই ইনিংসে একশ’র নিচে অলআউটের লজ্জায় ডুবেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ওয়ানডে সিরিজ জয়ে যে সম্মান অর্জন করেছিল তামিম ইকবালের দল টেস্টে ভরাডুবি হয়ে তা জলাঞ্জলি দিয়েছেন মুশফিক-মুমিনুলরা। টেস্ট শুরুর আগে প্রোটিয়ারা বাংলাদেশ দলকে সমীহ করেছিল। কিন্তু ম্যাচে বাংলাদেশ দল মোটেও সমীহ আদায় করতে পারেনি। কেবল প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে লড়েছিলেন তরুণ জয়।
দুই টেস্টের সিরিজে ভরাডুবি হওয়ায় আছে আরও কিছু গ্লানি। দুই টেস্টেই বাংলাদেশ ধসে গেছে প্রোটিয়া স্পিনারদের বিপক্ষে। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের ১৪টি নিয়েছিল স্বাগতিকদের স্পিনাররা। কেশব মহারাজ দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ১৫ উইকেট নিয়েছেন দলটির দুই স্পিনার। মহারাজ এবারও দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের আগে বিসিবি’র টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন, চতুর্থ ইনিংসে দল স্পিন সামলাতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। কারণ তারা স্পিন খেলে অভ্যাস্ত। ওমন উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাংলাদেশ মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হওয়ার পরে মুমিনুল বলেছিলেন, এশিয়ার বাইরে স্পিনের বিপক্ষে উইকেট দেওয়া পাপ।
টেস্ট সিরিজ শেষে মুমিনুল বলেন, ‘হারের কোন অজুহাত দেব না। আমাদের প্রসেস অনুসরণ করে খেলতে হতো। টেস্টে আমরা প্রসেস হারিয়েছে। দল ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। টেস্টেও আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দল হয়ে খেলতে পারিনি। এখান থেকে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
Leave a Reply