মাহামুদুল কবির নয়ন (ঝিনাইদহ)
ঝিনাইদহের পুরো জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোঃলিঃ এর ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে চরম ভোগান্তিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ঝিনাইদহ জেলাবাসী। রমজান মাসে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং হওয়ায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বিশেষ করে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে চলে যায় এবং নামাজ শেষে আসে৷ এছাড়াও ইফতারের ও যুহরের নামাজের পূর্বে বিদ্যুৎ চলে যায়। বরাবরই সব বছরেই বিদুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের রমজান মাসে ইফতার, তারাবির নামাজ, ও সেহেরির সময় লোডশেডিং না দেওয়ার নির্দেশ থাকে।
কিন্তু এরপর ও ঝিনাইদহ এর জেলায় রমজানের প্রথম দিন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ ও ওয়াবদাহ ‘র’ বারবার লোডশেডিং এর কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন জনসাধারণ।
ইফতারের আগে ও বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রোজাদার ও মুসল্লিরা। এদিকে অনেক বিদুৎ গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। ফেইসবুকের ‘ঝিনাইদহ জেলা’ নামে গ্রুপের একজন সদস্য রুবেল হোসাইন প্রতিবাদ করেন৷ তিনি বলেন আমাদের সবার, আমার আপনার এলাকার মানুষ সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হতে হবে।
এ ছাড়াও সাংবাদিক ভাই ও বোনদের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি অনুরোধ করেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।
রমজান মাসে ঘনঘন লোডশেডিং এর কারনে ঝিনাইদহ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সম্মানিত সভাপতি ও ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক জনাব শামীমুল ইসলাম শামীম বলেন, দেশে এখন বিদ্যুৎ সংকট হওয়ার কথা নয়,যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ-হাসিনা দেশের বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে অনেকটাই উন্নয়ন করেছেন।
এতএব, লোডশেডিং কথাটা থাকতেই পারে না। তিনি আরও বলেন মেশিনারিজ কারনে যদি কোন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে তাহলে আমার কোন কথা নাই। তবে পল্লীবিদ্যুৎ ও ওয়াবদাহ বিদ্যুৎ এর প্রয়োজনে এবং নিয়মে যদি লোডশেডিং করা হয় সেটা রোজাদারদের রমজান মাসে ইফতার, তারাবি ও সেহেরির সময় গ্রহণ যোগ্য নয়।
এই ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা বিদ্যুৎ এক্সচেঞ্জ এর এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম এর কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি জানান,এই ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই বা বলার নেই।
Leave a Reply