পেঁয়াজ ইম্পোর্ট পারমিটের (আইপির) মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (২৯ মার্চ)। সরকার নতুন করে কোনো আইপি অনুমোদন না দিলে আগামী বুধবার (৩০ মার্চ) থেকে বন্ধ হয়ে যাবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। েপেঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত আইপির মেয়াদ আছে।
সরকার যদি নতুন করে আইপি অনুমোদন না দেয়, সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। যে কারণে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দামটা অনেক কমতির দিকে। হিলি স্থলবন্দরের এক পেঁয়াজ আমদানিকারক বলেন, ‘রমজান মাসে এমনিতেই পেঁয়াজের দাম থাকে ঊর্ধ্বমুখী।
দাম স্বাভাবিক রাখতেই আমরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। তবে এবার সরকার ইম্পোর্ট পারমিট বা আইপি নতুন করে না দিলে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বাজারটাও যেমন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ, পেঁয়াজ বিক্রি হয় বাকিতে।
আমদানি বন্ধ হলে টাকা তুলতে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে ব্যাবসায়ীদের।’ এদিকে, দুদিন ছুটি শেষে রোববার (২৭ মার্চ) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ার পর দুপুর থেকে শুরু হয় পেঁয়াজ আমদানি। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে রোববার পেঁয়াজের পাইকার ছিল অনেকটাই কম।
তবুও বেড়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। চাহিদার তুলনায় আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেখা দিয়েছে পাইকার সংকট। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। হিলি স্থলবন্দর ও আড়তগুলোয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১৮-২৪ টাকা দরে।
রোববার বিকেলে স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সে তুলনায় আড়তগুলোয় পেঁয়াজের বেচাকেনা তেমন নেই। তা ছাড়া বাংলাদেশের অন্য স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাহিদার তুলনায় আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দামও নিম্নমুখী। হিলি স্থলবন্দরের তথ্যমতে, গত সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসে ভারতীয় ১৬৭ ট্রাকে ৪ হাজার ৭২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন আমদানি হয়েছে ২৯ ট্রাকে ৭৭৭ মেট্রিক টন।
Leave a Reply