বর্তমান নিউজ.কমঃ
নারায়ণগঞ্জে চিহ্নিত রাজাকার গোলাম রাব্বানী খানকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী বানানোর চেষ্টায় ক্ষোভ ও লজ্জা প্রকাশ করেছেন ৩৩ শহীদ পরিবার কল্যান সমিতি। ২৭ মার্চ সকালে মাসদাইর এলাকায় প্রতিরোধ স্তম্ভের সামনে ১৯৭১ সালে দেশের প্রথম গণপ্রতিরোধস্থল নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর এলাকায় সমাবেশ অনূষ্ঠানে তারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’ সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন আহাম্মেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, ৩৩ শহীদ পরিবার কল্যান সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, কবি হালিম আজাদ, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি ফাহমিদা আজাদ, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মনির হোসেন, কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ শাহীন সর্দার, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ বাবুল মিয়া, আবু সাঈদ, আলাউদ্দিন মহাজন, আবুল হোসেন পটলসহ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের বইয়ে শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে যার নাম রয়েছে, সে সময়ের পত্রিকায় শান্তি কমিটির নেতা হিসেবে যার নাম ছাপা হয়েছে, এলাকাবাসী স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে যার নাম জানে তাকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী বানানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত দেয়া অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এবং অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা নেতারা এই লিখিত দিয়েছেন। এমন ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে হয়তো মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্থাপনার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বদলে রাজাকারের সন্তানেরা থাকবে।
বক্তারা আরওবলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের প্রথম সশস্ত্র গণপ্রতিরোধ হয় নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে। প্রতিরোধের কারণে ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ক্র্যাকডাউন হলেও পাকিস্তানী বাহিনী নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে পারেনি। ২৭ মার্চ ভোরে পাকিস্থানী বাহিনী নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করে। এসময় তারা মাসদাইর এলাকার ৩৩ জনকে হত্যা করে। তবে এ শহীদরা এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি।
Leave a Reply