বর্তমান নিউজ ডটকমঃ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন,বর্তমান সরকারের সব কাজই দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের ত্রাহি অবস্থা, অথচ সরকার নির্বিকার। সরকার ভুল পথে চলছে। এ মুহূর্তে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বর্তমান সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েকটি সংগঠনের যৌথ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে দরিদ্র অনাহারী মানুষকে খাদ্য ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশ শেষে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভুখা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ তারিখের হরতালের সমর্থনে এ মিছিল প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে হাইকোর্ট মোড়, পুরান পল্টন, বিজয়নগর হয়ে হোটেল ৭১-এর বিপরীতে রাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে নিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু না বলে পারি না। বিএনপি বলেছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। এটাকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি। আজকে আরেকটা বিষয়ে বিএনপিকে না বলতে শিখতে হবে। খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে বারবার অপমান করা হচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় তাকে জেলের বাইরে রাখা হয়েছে, তা অপমানজনক; বরং তাকে আবার সেই নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারেই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার। তিনি বাইরে থেকে কী লাভ হচ্ছে? তিনি তো মিটিং করতে পারছেন না। জনগণের হয়ে কথা বলতে পারেন না।
বিএনপির কাছে আমার অনুরোধ- আপনারা আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আনুন। তার নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করুন। এতে সবারই লাভ হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব বলেন, আজ ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ চলছে। এই সরকার গরিব-দুঃখীদের দেখে না। যখন দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা, তখন তারা আতশবাজি করে, বেলুন ফোটায়। তিনি বলেন, ন্যায্যমূল্যে ভাত দেন, রুটি দেন; নইলে গদি ছেড়ে দেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সরকার সাধারণ জনগণের কোনো তোয়াক্কা করে না। সাধারণ মানুষের উচিত, এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে হরতাল করা।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সবাইকে মিলে দেশ বাঁচাতে হবে, এই সরকারকে হটাতে হবে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা; কিন্তু বলতে হচ্ছে- এমন দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে সরাসরি জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এভাবে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করতে সুবিধা হয় সরকারের লোকদের, নিজেদের পকেট ভরতে পারে তারা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।সূত্র,সমকাল
Leave a Reply