বর্তমান নিউজ ডটকমঃ
চিনের গবেষকরা একটি মাইক্রোওয়েভ মেশিন তৈরি করেছেন, যা মহাকাশে উপগ্রহগুলিকে জ্যাম বা ধ্বংস করতে পারে। জানা গিয়েছে, অস্ত্র বা যন্ত্রটির নাম – রিলেটিভিস্টিক ক্লিস্ট্রন অ্যামপ্লিফায়ার (আরকেএ)।যন্ত্রটি কা-ব্যান্ডে ৫-মেগাওয়াট পরিমাপের একটি তরঙ্গ বিস্ফোরণ তৈরি করতে পারে। যা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের একটি অংশ যা বেসামরিক এবং সামরিক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এশিয়া টাইমসের বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে তাইওয়ান নিউজ।
যদিও ভূমি থেকে আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয় আরকএ। তবে আরকেএ-কে কোনও উপগ্রহে মাউন্ট করা যেতে পারে। যা পরে তাদের মহাকাশে শত্রুপক্ষের স্যাটেলাইটকে আক্রমণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সেই স্যাটেলাইটের সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
যদিও চিন অস্বীকার করে যে রিলেটিভিস্টিক ক্লিস্ট্রন অ্যামপ্লিফায়ার হল ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন। আদতে ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন্স (ডিউডাব্লু) হল এমন এক সিস্টেম যেগুলি শারীরিক সংঘর্ষে শত্রুর সরঞ্জাম অথবা কর্মীদের ক্ষতি বা ধ্বংস করতে গতিশক্তির পরিবর্তে ঘনীভূত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তি ব্যবহার করে। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেজিংয়ের এক গবেষক দাবি করেন যে চিনের তৈরি করা যন্ত্রটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। উল্লেখ্য, ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে মহাকাশেও রেষারেষি শুরু হয়েছে সুপারপাওয়াগুলির মধ্যে। এর আগেও আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যকার মহাকাশ নিয়ে রেষারেষি ছিল। তবে পরবর্তীকালে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলি হাতে হাত মিলিয়ে মহাকাশে কাজ করেছে বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যেতে পারে। এবং এর জেরে পৃথিবীর সংঘর্ষ ছড়িয়ে যেতে পারে মহাকাশেও। এমনিতেও আজকের দিনে যুদ্ধের আর্ধেকটাই জয় করা হয় মহাকাশে থাকা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। এই পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে সক্ষম, এমন অস্ত্র কোনও দেশের হাতে থাকলে তা বিপদজনক হতে পারে বাকি গোটা বিশ্বের জন্য।
Leave a Reply